
		আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত একদিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় আরও ২১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার হাসপাতালগুলোর জেনারেটরের জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় রোগীদের “বিপর্যয়কর পরিস্থিতি” সম্পর্কে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস।
আল জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ৪৬ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রথম ৯ মাসে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানের চেয়ে প্রায় ৪১ শতাংশ বেশি, এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে চিকিৎসাবিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী দ্য ল্যানসেট।
নিরলস এই হামলায় আরও লক্ষাধিক লোক আহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরাইল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
এছাড়া ইসরাইলি অগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরাইল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।
মন্তব্য করুন