
		নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজা ভূখণ্ডে ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় ইসরাইলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি কারাবন্দিদের পর্যাক্রমে মুক্তি দেয়া হবে। যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গাজায় উদ্যাপনে নামে ফিলিস্তিনিরা।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল–থানি।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির যে চুক্তি হয়েছে তা ১৯ জানুয়ারি, রোববার থেকে কার্যকর হবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায় হামাস। সেই হামলায় প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হয় আর ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়।
হামাসের কাছে এখনো ৯৪ জন জিম্মি রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৩৪ জন নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। অপরদিকে গাজায় ইসরাইলের হামলায় ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
যুদ্ধবিরতি আলোচনায় কাতার ছিল প্রধান মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে একটি। বিবিসির গাজা সংবাদদাতা রুশদি আবু আলোফ বলেন, চুক্তিটি গাজার কয়েক লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষের ঘরে ফিরে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করবে।
এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের রাস্তায় ফিলিস্তিনিদের উচ্ছ্বাস করতে দেখা যায়। মধ্য গাজার দেইর-আল বালাহতে ফিলিস্তিনিরা উল্লাসে মেতে উঠেন। অন্যদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির খবরে তেল আবিবে জিম্মিদের স্বজনদের উল্লাস করতে দেখা গেছে ।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তি হয়েছে, তারা শিগগিরই মুক্তি পাবে।
তবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, চুক্তিতে এখনও ‘বেশ কিছু অমীমাংসিত ধারা’ রয়েছে। তবে আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা চূড়ান্ত করা হবে বলে নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন