
		আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পিছিয়ে গেল গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যক্রম। যুদ্ধবিরতির প্রথমধাপে যেসব জিম্মি মুক্তি পাবে তাদের তালিকা হামাস না দেয়ার এ অভিযোগে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরাইল। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে গাজায় কার্যকর করার কথা ছিলো এই যুদ্ধবিরতি।
ইসরাইলের এই সিদ্ধান্তের ফলে অপেক্ষার প্রহর যেন আরও দীর্ঘ হলো অসহায় গাজাবাসীর।
এদিকে, রোববার ভোর পর্যন্ত ইসলাইলি হামলায় আরও ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪৬ হাজার ৮৯৯ জনে পৌঁছেছে।
১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলা বিধ্বংসী যুদ্ধের অবসানে রোববার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা ও বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় গাজায় কার্যকর হবার কথা ছিল যুদ্ধবিরতি চুক্তি। মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণাও আসে হামাস ও ইসরাইলের পক্ষ থেকে। তবে স্বস্তি ফিরে পাওয়ার আশা ভেস্তে গেল গাজাবাসীর। শেষ মুহুর্তে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানান, প্রথমধাপে যেসব জিম্মিদের মুক্তি দিবে হামাস তাদের তালিকা না দেয়া পর্যন্ত কার্যকর হবে না যুদ্ধ বিরতি।
এদিকে, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি জানিয়েছেন, হামাস যুদ্ধবিরতির শর্ত পূরণ করতে পারেনি। তাই গাজায় হামলা অব্যাহত থাকছে।
এদিকে, গাজায় প্রবেশের জন্য সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শত শত গাড়ি। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে গাজায় শিশুদের জন্য খাদ্য, পানি এবং ওষুধ সরবরাহ শুরু করার কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন। সংস্থাটি বলছে, গাজায় থাকা ১ কোটি ১০ লাখ শিশুর অধিকাংশই বর্তমানে জরুরি খাদ্যের অভাবে রয়েছে।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের মুখপাত্র রোজালিয়া বোলেন জানিয়েছেন, গাজায় প্রবেশ করতে প্রস্তুত রয়েছে ১ হাজার ৩০০ ত্রাণবাহী ট্রাক। এসব ত্রাণ পৌঁছানোর পর আরও ৭০০ ট্রাক গাজায় প্রবেশের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইউনিসেফের পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থাও সহায়তা প্রদান করছে।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির জন্য নির্ধারিত সময়ের আগ মূহুর্তেও গাজায় নতুন করে হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। মধ্য গাজার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে বেশ কিছু আবাসিক ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইলি সেনারা। এছাড়া উত্তর গাজায় বিমান হামলা এবং রাফাহ শহরে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন