
		আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনেই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের মাধ্যমে রেকর্ড গড়ার প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রিপাবলিকান এই নেতা তার একক ক্ষমতা ব্যবহার করে ব্যাপক পরিবর্তন আনার আশ্বাস দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাপকভাবে অবৈধ অভিবাসীদের দেশ থেকে বহিষ্কার, পরিবেশবিষয়ক বিধিনিষেধ কমানো ও বৈচিত্র্য কর্মসূচি বাতিল।
শপথ নেওয়ার পরপরই ট্রাম্প দুই শতাধিক নির্বাহী পদক্ষেপে স্বাক্ষর করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে আইনিভাবে বাধ্যতামূলক নির্বাহী আদেশ ছাড়াও প্রোক্লেমেশন এবং অন্য প্রেসিডেন্টিয় নির্দেশাবলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
শপথ নেয়ার আগ মুহূর্তে ট্রাম্প তার সমর্থকদের জানিয়েছেন, তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কর্মসূচি বাড়ানোর জন্য নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন। এছাড়া তিনি ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি নামে একটি নতুন দপ্তর গঠন করবেন। সেই সঙ্গে ১৯৬৩ সালে ৩৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত রেকর্ড প্রকাশ ও সামরিক বাহিনীকে আয়রন ডোম মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরির নির্দেশ দেওয়ার পরিকল্পনা করেন।
সামরিক বাহিনী থেকে বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি নীতিমালা অপসারণ করার প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন ট্রাম্প। সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, নারীদের খেলাধুলায় ট্রান্সজেন্ডারদের অংশগ্রহণ বন্ধ করবেন ও শিক্ষার নিয়ন্ত্রণ আবারও রাজ্যগুলোর হাতে ফিরিয়ে দেবেন।
ট্রাম্পের এই পরিকল্পনাগুলো নিয়ে তার সমর্থকরা উৎসাহিত হলেও সমালোচকরা এগুলোকে চ্যালেঞ্জিং ও বিতর্কিত বলে উল্লেখ করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি বাস্তবায়নে বড় ধরনের লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ ও কয়েক হাজার কোটি ডলার ব্যয় হতে পারে।
মন্তব্য করুন