
		আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের কর্ণাটকে হ্রদের কাছ থেকে বাংলাদেশি নারীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে স্থানীয় প্রশাসন সন্দেহ করছে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। শনিবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
পুলিশের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, ওই নারী একটি অ্যাপার্টমেন্টে গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। তাদের ধারণা, গত বৃহস্পতিবার বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন তিনি। গতকাল স্থানীয় লোকজন একটি নির্জন স্থানে তাঁর মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ আরও বলছে, ওই নারীর স্বামী বিবিএমপির (বেঙ্গালুরু পৌরসভা) পরিচ্ছন্নতাকর্মী। স্বামী ও তিন সন্তানের সঙ্গে এ শহরেই থাকতেন তিনি।
হিন্দুস্তান টাইমসকে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মরদেহটি একজন বাংলাদেশির। তিনি ছয় বছর ধরে ভারতে অবস্থান করছিলেন। তাঁর স্বামীর বৈধ ভিসা আছে এবং তিনি মেডিকেল ভিসায় ভারতে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার ওই নারী তাঁর এক সহকর্মীকে বলেছিলেন, তাঁর কিছু ব্যক্তিগত কাজ থাকায় বাড়ি ফিরতে দেরি হতে পারে। তিনি সহকর্মীকে তাঁকে ছাড়াই চলে যেতে বলেছিলেন। কিন্তু অনেক রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় সেদিনই রামমূর্তিনগর থানায় তাঁর নিখোঁজ থাকার বিষয়ে অভিযোগ করেন স্বামী।
পুলিশের ধারণা, ওই নারী পরিচিত কারও সঙ্গে দেখা করতে স্বেচ্ছায় একটি নির্জন স্থানে গিয়েছিলেন। গতকাল সকালে মরদেহ উদ্ধারের সময় মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাদের আরও ধারণা, কোনো বিবাদকে কেন্দ্র করে তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। এ ঘটনায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেছে পুলিশ। মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় আছে তারা।
মন্তব্য করুন