
		আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় সব সহায়তা স্থগিত করতে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রা¤প। শেতাঙ্গ কৃষক নির্যাতনের অভিযোগে এ পদক্ষেপ নিলেন তিনি। যদিও তার এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে সহায়তা বন্ধের পদক্ষেপকে অমানবিক বলছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট। এদিকে, নিজেদের অর্থনীতি শিক্তিশালী করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আবারও শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই একের পর এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরকরে আলোচনার জন্ম দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি তাকে সবচেয়ে বেশি সমালোচনায় ফেলেছে বৈশ্বিক সহায়তা বন্ধের পদক্ষেপ। তবে সেসবে বিচলিত না হয়ে এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় সহায়তাবন্ধের নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেছেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেইসাথে ইরানের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করছে যা মার্কিন নিরপত্তার জন্য হুমকি। এছাড়া, দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন ভূমি আইন শ্বেতাঙ্গদের অধিকার লঙ্ঘন করছে। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট রামাফোসা এই আইনকে সাংবিধানিক অধিকার বলে দাবি করেছেন। সেইসাথে ট্রাম্পের সহায়তা বন্ধের পদক্ষেপকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলেও মন্তব্য করেছেন।
বৈশ্বিক বাণিজ্য কাঠামো যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে আনতে আগামী সপ্তাহে আবারও শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার কোন কোন দেশের ওপর শুল্কআরোপ করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি। তবে এই পরিকল্পনার পরিসর অত্যন্ত ব্যাপক এবং মার্কিন বাজেট ঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে বলে দাবি করেছেন তিনি।
এদিকে, আদালতে আটকে যাচ্ছে ট্রাম্পের একের পর এক পদক্ষেপ। তার এক নির্বাহী আদেশে ইলনমাস্কের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল সরকারি কর্মদক্ষতাবিভাগ-ডিওজিই। সেই ডিওজিই-কে ফেডারেল লেনদেন বিভাগে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। এই রায় ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যান্য রাজনৈতিকভাবে নিযুক্ত কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য বলে জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন