
		আনলাইন ডেস্ক: ইউক্রেনের পৃথক অঞ্চলে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এই হামলায় অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে। আহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। এছাড়া হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি ও স্থাপনাও। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন রাশিয়ার সর্বশেষ হামলায় ইউক্রেনে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছে। গত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই সংঘাত চলছে এবং নানা প্রচেষ্টার পরও সংঘাত প্রশমিত হওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
স্থানীয় কর্মকর্তারা শনিবার জানায়, দোনেৎস্ক অঞ্চলে একটি হামলায় কমপক্ষে ১১ জন নিহত এবং আরও ৪০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ছয় শিশুও রয়েছে। খারকিভ এবং ওডেসাসহ অন্যান্য অঞ্চলে বাড়িঘর এবং অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিবিসি বলছে, শুক্রবার গভীর রাতে দোনেৎস্ক অঞ্চলের ডোব্রোপিলিয়া শহরে সবচেয়ে মারাত্মক হামলা চালানো হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আটটি আবাসিক ভবন এবং একটি শপিং সেন্টারে আঘাত করলে কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়।
জরুরি পরিষেবা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর রাশিয়া “উদ্ধারকারীদের লক্ষ্য করে ইচ্ছাকৃতভাবে” আরেকটি হামলা চালায় বলে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি একটি টেলিগ্রাম পোস্টে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, “এই ধরনের হামলা এটিই দেখায় যে, রাশিয়ার লক্ষ্য অপরিবর্তিত।”
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার এবং শনিবার এই অঞ্চলে অন্যান্য হামলায় আরও নয়জন নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়েছে।
এছাড়া শনিবার ভোরে খারকিভ অঞ্চলের বোহোদুখিভে একটি কোম্পানিতে ড্রোন হামলায় তিনজন নিহত এবং আরও সাতজন আহত হয়েছে বলে আঞ্চলিক প্রধান ওলেহ সিনেহুবভ জানিয়েছেন।
শুক্রবার আরেকটি ড্রোন হামলায় ওডেসার বেসামরিক ও জ্বালানি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আঞ্চলিক প্রধান জানিয়েছেন। ডিটেক জ্বালানি কোম্পানি জানিয়েছে, “তিন সপ্তাহের মধ্যে এই অঞ্চলের জ্বালানি ব্যবস্থার ওপর এটি সপ্তম আক্রমণ।”
এদিকে ইউক্রেন এরমধ্যেই রাশিয়াকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী রাতের আঁধারে ৩১টি ইউক্রেনীয় ড্রোন আটক করেছে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে রাশিয়ার হামলা বেশ তীব্রতর হয়েছে, কারণ কিয়েভকে সামরিক সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্য দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহে ওভাল অফিসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওয়াশিংটন।
মন্তব্য করুন