
		অনলাইন ডেস্ক: যুদ্ধবিরতির চুক্তি কার্যকর থাকার পরও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ ইসরাইলি ড্রোন হামলায় তিন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও সাতজন আহত হয়েছেন। শনিবার (৮ মার্চ) এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। একই দিনে গাজার ধ্বংস¯ূ—প থেকে আরও ৭টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। চিকিৎসা ও স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা আনাদোলু এবং এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরের পূর্বে আবু হালাওয়েহ এলাকায় ইসরাইলি ড্রোন হামলায় তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া গাজা-মিসর সীমান্তের ফিলাডেলফি করিডোরে ইসরাইলি সামরিক যানবাহন থেকে গুলি ছোড়া হয়, যা রাফাহ ও তার আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। গাজার উত্তরাঞ্চলেও বেইত হানুন শহরে একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির ধ্বংস¯ূ—প পরিস্কার করার সময় ইসরাইলি ড্রোন হামলায় সাতজন আহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার ধ্বংস¯ূ—প থেকে আরও ৭টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যা গত বছরের অক্টোবর থেকে ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৪৫৩-তে পৌঁছানোর প্রমাণ দেয়। এছাড়া আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১১ হাজার ৮৬০ জনে দাঁড়িয়েছে, যা মানবিক সংকটকে আরও গভীর করেছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ইসরাইলের হামলায় প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং ভূখ-টির ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকার পরও ইসরাইল তার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
যদিও গত ১৯ জানুয়ারি থেকে তিন-পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, যার মধ্যে বন্দি বিনিময়, স্থায়ী শান্তি ও ইসরাইলি বাহিনীর গাজা থেকে প্রত্যাহারের শর্ত ছিল, তবুও এই হামলা বন্ধ হয়নি। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছে, তবে ইসরাইল সেই আহ্বান উপেক্ষা করে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন