
		নিজস্ব প্রতিবেদক: শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। ভয়াবহ দুটি ভূমিকম্পে মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে একাধিক বহুতল ভবন ধসে পড়েছে। ভেঙে গেছে সেতু। ডেবে গেছে সড়ক। মিয়ানমারেই অন্তত ৪০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ভয়াবহ ভূমিকম্পের ধাক্কা লেগেছে থাইল্যান্ডের ব্যাংককেও। শহরটিতে একটি বহুতল ভবন পুরোপুরি ধসে পড়েছে। আটকে পড়াদের উদ্ধারে চলছে তৎপরতা। মিয়ারমারের ৬ রাজ্য ও ব্যাংককে জারি করা হয়েছে জরুরী অবস্থা। বাংলাদেশ-চীন-ভারতেও এ কম্পন অনুভুত হয়। স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে মিয়ানমার ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে। শুক্রবার দুপুরের দিকে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। পরে উৎপত্তিস্থলের ২০ কিলোমিটারের দূরে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পে মিয়ানমারের বিভিন্ন সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অনেক ভবন ধসে পড়েছে। ভেঙে গেছে বিখ্যাত আভা সেতু। জোড়া ভূমিকম্পের পর একটি মসজিদ ধসে পড়ার কারণে অনেকে হতাহত হয়েছেন। এদিকে, টাঙ্গুতে শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া একটি মঠ ধসে পড়লে শিশুসহ অন্তত পাঁচজন নিহত হন। এছাড়াও বহু হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। ৬টি রাজ্যে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে কেঁপেছে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককও। সেখানে নির্মাণাধীন ৩০ তলা একটি ভবন ধসে পড়েছে। আটকা পড়েছে নির্মাণ শ্রমিকরা। ভূমিকম্পের পর বন্ধ রয়েছে ব্যাংককের ট্রেন ও মেট্রো পরিষেবা। ব্যাংককে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্পটি শক্তিশালী হলেও উৎপত্তিস্থল ভূ-পৃষ্ঠের অনেক গভীরে হওয়ায় ক্ষতির পরিমান কম হয়েছে।শুধু মিয়ানমার বা থাইল্যান্ডই নয়, ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশ, ভারত এবং চীনেও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের কাছাকাছি এলাকা এত বড় ভূমিকম্প বাংলাদেশের জন্য অশনিসংকেত।
মন্তব্য করুন