
		আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারে সাত দশমিক সাত মাত্রার ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা হাজার ছাড়িছে। আহত হয়েছে বহু মানুষ। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ধসে পড়েছে বহু ভবন ও অবকাঠামো। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তাঘাট ও সেতু। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডেও ভবন ধসের ঘটনা ঘটেছে। নিহত হয়েছে শতাধিক মানুষ।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে মিয়ানমার। এর প্রভাবে কম্পন অনুভূত হয় পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশও। আমেরিকার ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা-ইউএসজিএস জানিয়েছে, মিয়ানমারে ভূমিকম্প মোট নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। এছাড়া সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এক হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও আশংকা করা হচ্ছে।
ঘটনার পর থেকে মিয়ানমারের ছয়টি জেলায় জরুরি অবস্থা জারি রাখা হয়েছে। দেশটির সামরিক জান্তার প্রধান মিন অং হ্লাইং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে সাহায্যের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। জান্তা প্রধানের আহ্বানে সাড়া দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভূমিকম্পের এ ঘটনাটিকে ভয়ানক উলে¬খ করে সহায়তার জন্য সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানান ট্রাম্প। মিয়ানমারের এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শোক প্রকাশ করেছেন, পাশাপাশি জাতিসংঘের সংশি¬ষ্ট দল কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন।
ভূমিকম্পে মিয়ানমারের প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডেও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধসে পড়েছে ভবন। আটকা পড়েছে শতাধিক মানুষ, জরুরি অবস্থা জারি রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন