মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজায় ইসরাইলের বিমান অভিযানে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ভোর থেকে রাত পর্যন্ত অন্তত ৬৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের অধিকাংশই গাজার প্রধান শহর গাজা সিটি এবং উত্তর গাজার বাসিন্দা। যদিও সর্বত্রই ব্যাপক হামলা শুরু করেছে ইসরাইল।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী-আইডিএফ। শুক্রবারের অভিযানের পর গত দেড় বছরে উপত্যকায় মোট নিহত ও আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫১ হাজার। সেই সঙ্গে আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার জনে। এই নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
গতকাল যারা নিহত হয়েছেন, তাদের অধিকাংশই গাজার প্রধান শহর গাজা সিটি এবং উত্তর গাজার বাসিন্দা। তবে গতকাল মধ্য, উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চল অর্থাৎ সর্বত্র ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরাইলের বিমানবাহিনী। বর্তমানে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফার কাছে শাবৌর এবং তেল আস সুলতান এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে আইডিএফ। এই দুই ঘাঁটি থেকেই পরিচালনা করা হয়েছে সর্বশেষ এই হামলা।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ আবারও জানিয়েছেন, ইসরাইল তার যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনের জন্য বদ্ধপরিকর। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “জিম্মিদের মুক্তি এবং হামাসকে পরাজিত করা ইসরাইলের সেনাবাহিনী এখন চূড়ান্ত বিজয়ের পথে এগোচ্ছে।”
গতকাল শুক্রবার ছিল খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র দিন গুড ফ্রাইডে। ইসরাইলের ব্যাপক হামলার মধ্যেই স্থানীয় গির্জাগুলোতে অনাড়ম্বরহীনভাবে ধর্মীয় আচার-আনুষ্ঠানিকতা পালন করেছেন গাজার খ্রিস্টানরা।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জন ইসরাইলিকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।
জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরাইল। কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত ১ মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন দেড় হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও বহুসংখ্যক।
মন্তব্য করুন
