
		যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্যের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে পবিত্র হজ। বৃহস্পতিবার দুপুরে মক্কার আরাফাত ময়দানে মসজিদে নামিরাহ থেকে হজের খুতবা দেন মসজিদুল হারামের প্রবীণ ইমাম ও খতিব ডক্টর সালেহ বিন আব্দুুল্লাহ বিন হুমাইদ। খুতবায় মুসলিম বিশ্বের শান্তি কামনার পাশাপাশি মুসলমানদের প্রতি আল্লাহর দেয়া নির্দেশনা পালনের ওপর জোর দেয়া হয়। খুতবা শেষে এক আজানে আলাদা ইকামতে জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করেন হাজীরা। সন্ধ্যার পর তারা যাবেন মুজদালিফায়। লাখো মুসল্লির লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত হলো সৌদি আরবের মক্কার ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দান। বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজ আদায় শেষে মিনা থেকে হেঁটে, কেউবা গাড়িতে চেপে আরাফাত ময়দানে উপস্থিত হন বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা প্রায় ১৫ লাখ মুসল্লি। যে যেখানে জায়গা পেয়েছেন, সেখানে অবস্থান নিয়ে সৃষ্টিকর্তার আনুগত্য পাবার আশায় ইবাদতে মশগুল হয়েছেন। সূর্যাস্ত পর্যন্ত এখাইে থাকবেন আল্লাহর মেহমানরা। দুপুরে, জোহরের নামাজের আগে আরাফাতের মসজিদে নামিরাহ থেকে খুতবা দেন মসজিদুল হারামের প্রবীণ ইমাম ও খতিব ডক্টর সালেহ বিন আব্দুুল্লাহ বিন হুমাইদ। খুতবার শুরুতে ইসলামের বিধিবিধান ও নির্দেশনার কথা উল্লেখ করেন তিনি। ঈমানের মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতা অর্জনে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এসময় ফিলিস্তিনসহ মুসলিম বিশ্বের শান্তি কামনায় দোয়া করা হয়। খুতবা শেষে সেখানেই এক আজানে জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করেন হাজিরা। সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে ৮ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় গিয়ে এক আজানে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। রীতি অনুযায়ী রাতে অবস্থান করবেন মুজদালিফার খোলা আকাশের নিচে। সেখান থেকে প্রতীকী শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য পাথর সংগ্রহ করবেন। শুক্রবার ফজরের নামাজ শেষে, মিনায় ফিরবেন হাজিরা। প্রতীকী শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করে আল্লাহর উদ্দেশ্যে সাধ্যমত পশু কোরবানি করবেন। এরপরই মাথার চুল ফেলে দেবেন। এরপর হাজিরা মক্কায় ফিরে কাবা শরীফ ‘তাওয়াফ’ এবং সাফা ও মারওয়া পর্বতের মধ্যে ‘সায়ী’ করে আবারও ফিরে যাবেন মিনায়। ১১ ও ১২ জিলহজ আরো কিছু আহকাম পালন এবং কাবা শরীফে বিদায়ী তাওয়াফের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে পবিত্র হজের সব আনুষ্ঠানিকতা। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৮৫ হাজার ১৬৪ জন হজ পালনে সৌদি আরব গেছেন।
মন্তব্য করুন