
স্মরণকালের ভয়াবহ হামলার মুখে পড়লো মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া রাষ্ট্র ইসরাইল। ইরানে হামলার পর এমন পাল্টা জবাব আসবে তা ভাবতেই পারিনি ফিলিস্তিনের দখলদার রাষ্ট্রটি। ইরান থেকে যাতে পাল্টা জবাব না আসে, সেজন্য সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলো ইসরাইল।
শুক্রবার (১৩জুন) ইরানের শীর্ষ কমান্ডারদের হামলার পর দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বেশকিছু ধ্বংস করে ইসরাইল। ইরানী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও ধ্বংসের দাবিও করে তারা। বিভিন্ন মাধ্যমে নিহত ইরানি নেতাদের ছবি এবং ইরানী কিছু সামরিক স্থাপনা ধ্বংসের ছবি ছড়িয়ে দিয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলো।
তবে শুক্রবার দুপুরের পর থেকে জবাব দিতে শুরু করে ইরান। ইসরাইলের আত্মবিশ্বাস ছিলো বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং আয়রণ ড্রোন দিয়ে সফলভাবে তা মোকাবিলার। এজন্য নিজের ভূখন্ডে ইরানি ড্রোন পৌছানোর আগেই, আশেপাশে ইসরালের আজ্ঞাবহ দেশ জর্ডান, সিরিয়া এবং ইরাকে মার্কিন ঘাঁটি থেকে ইরানি ড্রোন প্রতিহতের চেষ্টা করে। কিন্তু দিন গড়িয়ে রাত নামতেই ইসরাইলে আসতে থাকে ইরানি মিসাইল ও ড্রোন। ইসরাইল চিন্তাও করেনি কী বিভীষিকা রাত শুরু হয়েছে তাদের জন্য।
রাজধানী তেলআবিবসহ ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ শহরে ও সামরিক দপ্তরে আসতে থাকে ইরানি মিসাইল। একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, ইরানি মিসাইল আসার আগেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে উৎক্ষেপিত হয় একাধিক ইসরাইলি মিসাইল। উদ্দেশ্য ইরানি মিসাইলকে ইন্টারসেপ্ট বা নিষ্ক্রিয় করা। তবে হঠাৎ করে আছড়ে পড়তে থাকে ইরান থেকে আসা দ্রুতগতির মিসাইল। রাজধানী তেল আবিবের কিরিয়ায়, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরে একের পর এক আঘাত করে ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।
ভিডিওতে অনেকটা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হতে দেখা যায় ইসরাইলিদের। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সমৃদ্ধ ইসরাইলের প্রতিরক্ষা দপ্তর সুনির্দিষ্ট হামলার শিকার হবে, এটা কল্পনায়ও ছিলো না তাদের।
রাতে ইরানের পাল্টা হামলায় ভীত হয়ে পড়ে ইসরাইলের কর্তাব্যক্তিরাও। ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হিউক্কাবি, তার এক্স-হ্যান্ডেলে জানান, হামলার মধ্যে 'কঠিন' রাত কেটেছে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মধ্যে তাকে রাতে পাঁচবার আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হয়েছিল।’
মন্তব্য করুন