
		ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইরানের তেহরানে একটি আবাসিক ভবনে থাকা অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২০ জন শিশু রয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
শনিবার (১৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
এর আগে শুক্রবার ইসরায়েলের প্রথম দফা হামলায় মোট ৭৮ জন নিহত এবং ৩২০ জন আহত হন বলে জানান জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের এসব হামলার পর ইরানের সরকার দেশটির জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানি নাগরিকদের নিজ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলের এসব হামলায় দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর দুইজন উপ-মহাপরিচালক নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- জেনারেল গোলামরেজা মেহরাবি ও জেনারেল মেহদি রাব্বানি। তবে ঠিক কখন এই দুই শীর্ষ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
তবে শুক্রবার দুপুরের পর থেকে জবাব দিতে শুরু করে ইরান। ইসরাইলের আত্মবিশ্বাস ছিলো বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং আয়রণ ড্রোন দিয়ে সফলভাবে তা মোকাবিলার। এজন্য নিজের ভূখন্ডে ইরানি ড্রোন পৌঁছানোর আগেই, আশেপাশে ইসরাইলের আজ্ঞাবহ দেশ জর্ডান, সিরিয়া এবং ইরাকে মার্কিন ঘাঁটি থেকে ইরানি ড্রোন প্রতিহতের চেষ্টা করে। কিন্তু দিন গড়িয়ে রাত নামতেই ইসরাইলে আসতে থাকে ইরানি মিসাইল ও ড্রোন। ইসরাইল চিন্তাও করেনি কী বিভীষিকা রাত শুরু হয়েছে তাদের জন্য।
মন্তব্য করুন