
		পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে ইসরাইল ও ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলা। তেহরান খালি করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশনার পরপরই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে ইরানের রাজধানী। তেল আবিবসহ ইসরাইলের বিভিন্নস্থানে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইরানও। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, খামেনিকে হত্যা করলেই থামবে সংঘাত। এদিকে, সংঘাত বন্ধে যুদ্ধবিরতি নয়, আরও ভালো কিছুর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরান ও ইসরাইলের সংঘাত যখন বিশ্বজুড়ে উত্তাপ ছড়াচ্ছে, তখন যেন কিছুটা আশার বাণী শোনালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তড়িঘড়ি করে ট্রাম্পের কানাডায় চলমান জি-৭ সম্মেলন ছেড়ে যাওয়া নিয়ে যখন আলোচনা ডালপালা মেলছিলো, তখন ট্রাম্প নিজেই জানালেন সংঘাতের অবসান চান তিনি। তবে, যুদ্ধবিরতি নয়, আরও ভালো কিছুর প্রত্যাশা তার। এদিকে, ইরান-ইসরাইল চলমান সংঘাত ইস্যুতে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্বের উন্নত সাত দেশের জোট জি-সেভেন। কানাডায় চলমান সম্মেলনে জোটটির নেতারা ইসরাইলের আগ্রাসনের পক্ষেই নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করেছেন। বিবৃতিতে জোটের নেতারা মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার জন্য তেহরানকে দায়ী করে ইসরইলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে বলে মত দিয়েছেন। অন্যদিকে, সোমবার রাতভর তেল আবিবসহ বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। ইসরাইলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে বিভিন্ন শহরে পড়েছে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র। হামলার আশঙ্কায় ইসরাইলজুড়ে মানুষ আতঙ্কে ছুটছেন ভূগর্ভের আশ্রয়কেন্দ্রে। মোসাদ কার্যালয়ে তেহরান হামলা করেছে বলে দাবি করেছে আইডিএফ। এছাড়া ইরানি এক কমান্ডারকে হত্যার দাবিও করেছে ইসরাইল। সোমবার ইসরাইলি হামলায় ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের দুই কর্মী নিহত হয়েছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দাবি, তেহরানে একটি হামলা চালিয়ে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা আলী শাদমানিকে হত্যা করা হয়েছে। যিনি ছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগী। এদিকে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা করলেই এই সংঘাত বন্ধ হবে। এদিকে, ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধের পরিধি বাড়াতে চায় না ইরান। তবে যেকোনো আক্রমণের সমানমাত্রায় পাল্টা জবাব দেয়া হবে। ইরানে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে মিশরসহ ২১ মুসলিম দেশ।
মন্তব্য করুন