
		ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি বা সামরিক অভিযান বন্ধের বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি। তবে ইসরায়েল যদি তেহরানের স্থানীয় সময় অনুযায়ী ভোর ৪টার মধ্যে ইরানি জনগণের বিরুদ্ধে তাদের অবৈধ আগ্রাসন বন্ধ করে, তাহলে আমরা আর পাল্টা হামলা চালিয়ে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা রাখি না।’ সামরিক অভিযান বন্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরে নেয়া হবে বলেও জানা ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, ‘ইসরায়েল ও ইরান পুরোপুরি ও সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।’ নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল তিনি এই ঘোষণা দেন। তিনি জানান, এই যুদ্ধবিরতি একপর্যায়ে চলমান সংঘাতের অবসানের পথে নিয়ে যাবে। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে দুই পক্ষের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য আসেনি।
এদিকে ইসরায়েল শর্ত সাপেক্ষে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। শর্ত হলো, ইরানকে ইসরায়েলে হামলা চালানো বন্ধ করতে হবে। ইসরায়েলের দেয়া এই শর্তে ইরান সম্মত হয়েছে। হোয়াইট হাউসের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সিএনএনকে এই তথ্য জানিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলাকালে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছিলেন। পাশাপাশি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্র ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মার্কো রুবিও এবং ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ সরাসরি ও পরোক্ষ চ্যানেলের মাধ্যমে ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তাবলি নিয়ে আলোচনা করেন।
ওয়াশিংটন ডিসির স্থানীয় সময় গত শনিবার সন্ধ্যায় ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার কারণেই এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছে হোয়াইট হাউস।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর সঙ্গে জরুরি বৈঠক শুরু করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্রের বরাতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত রয়েছে- ইসরায়েলের কৌশলগত বিষয়-সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী রন ডারমার, পররাষ্ট্র মন্ত্রী গিদেউন সার, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ, শাস পার্টির প্রধান আরিয়েহ দেরি, জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ। এর আগে নেতানিয়াহু তাঁর বিস্তৃত নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন।
মন্তব্য করুন