
		ইরান-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার এক দিনের মাথায় ইসরায়েলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তিন ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর করেছে ইরান। আজ বুধবার ইরানের বিচার বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।
ইরানের বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইদ্রিস আলী, আজাদ শোজাই ও রাসুল আহমদ রাসুল নামের তিন ব্যক্তি হত্যাকাণ্ড চালানোর উদ্দেশ্যে দেশটির ভেতরে সরঞ্জাম ঢোকানোর চেষ্টা চালিয়েছিলেন। জায়নবাদী শাসককে (ইসরায়েল) সহযোগিতা করার অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করে বিচার করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আজ সকালে রায় কার্যকর করা হয়েছে এবং তাঁদের ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। ইরানের বিচার বিভাগের তথ্য অনুসারে, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর উরমিয়ায় ওই তিন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তুরস্কের সীমান্তের কাছে উরমিয়ার অবস্থান।
এদিকে ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তারা ৭০০ জনের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ইরান। গত ১২ দিনের ইসরায়েল-ইরানের সংঘাতের সময় এই গ্রেপ্তারের ঘটানাগুলো ঘটেছে। ইরানের বিভিন্ন প্রদেশজুড়ে ইসরায়েলের হয়ে কাজ করা সন্দেহভাজন এজেন্টদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই প্রদেশগুলোর মধ্যে রয়েছে: কেরমানশাহ, ইসফাহান, খুজেস্তান, ফার্স, লোরেস্তান। তবে রাজধানী তেহরানে ঠিক কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনো কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ফার্স নিউজ এবং নূরনিউজ জানায়, আটক ব্যক্তিরা মূলত গোয়েন্দা ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল। ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’র অংশ হিসেবে ইরানের ভেতরে অভিযান পরিচালনার কথা স্বীকার করেছে এবং গোপন এজেন্টদের ভিডিও-ও প্রকাশ করেছে। এতে ইরানে ব্যাপক নিরাপত্তা সতর্কতা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারি বেড়েছে।
ইরানি প্রশাসন ইসরায়েলপন্থী পোস্ট শেয়ার করায় আরও অনেককে গ্রেফতার করেছে এবং তেহরানে একটি বিশেষ প্রসিকিউশন ইউনিট গঠন করা হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো অতীতে এমন গণগ্রেপ্তারের আইনি স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং এই নতুন গ্রেপ্তার নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। বিভিন্ন প্রতিবেদনে একাধিক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার কথাও দাবি করা হয়েছে, যদিও এসব তথ্যের স্বাধীন যাচাই এখনো হয়নি।
মন্তব্য করুন