
		জাপানে দণ্ডপ্রাপ্তকে সেই ‘টুইটার কিলার’কে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। দেশটির স্থানীয় সময় শুক্রবার তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। টুইটার কিলার ৯ জনকে হত্যায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে খুন হওয়াদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছিল ওই খুনী। জাপানের বিচার বিভাগের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।
মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যমটি বলছে, সবশেষ তিন বছরের মধ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে প্রথমবারের মতো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল জাপান। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা ৩৪ বছর বয়সি তাকাহিরো শিরাইহিশি ২০২০ সালে মৃত্যদণ্ড সাজা দেওয়া হয়। ৯ জনকে হত্যার বিষয়টিকে জাপানে গণহত্যা হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় গোটা দেশটিতে আলোড়ন ফেলেছিল।
টোকিওর উপকণ্ঠ কানাগাওয়াতে কাহিরো শিরাইহিশির অ্যাপার্টমেন্ট ছিল। সেই অ্যাপার্টমেন্ট থেকে নারীদের ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই নারীদের হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল। ২০১৭ সালে ২৩ বছর বয়সি এক নারী নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের আগে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে আত্মহত্যাবিষয়ক লেখা লিখেছিলেন ওই নারী। এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। আর ওই বছরের অক্টোবরে শিরাইহিশিকে গ্রেফতার করা হয়।
শিরাইহিশির অ্যাপার্টমেন্ট পাঁচটি কন্টেইনার ও তিনটি কুলার বক্স উদ্ধার করা হয়। ওই কন্টেইনার ও বক্সে নারীদের মাথা এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ পাওয়া যায়। জাপানের সম্প্রচার মাধ্যম এনএইচকের তথ্যমতে, শিরাইহিশি মোট ৯ জনকে হত্যা করেছিল। এর মধ্যে আটজন নারী ও বাকিজন পুরুষ। এনএইচকে বলছে, ভুক্তভোগীরা সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে আত্মহত্যার কথা বলেছিল। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল শিরাইহিশির। সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম টুইটারে (বর্তমানে এক্স) তাদের যোগাযোগ ছিল।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে জাপানের বিচারমন্ত্রী কেউসুক সুজুকি বলেন, ‘এ মামলাটি যৌন ও আর্থিক তৃপ্তির মতো স্বার্থপর উদ্দেশ্য দ্বারা পরিচালিত। দুই মাসের মধ্যে ৯ জন ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছিল। এ ঘটনা গোট দেশকে হতবাক করেছিল। মানুষের মাঝে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছিল। আমি বুঝতে পারি, এটি ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের জন্য একটি বিশেষভাবে হৃদয়বিদারক ঘটনা।’
মন্তব্য করুন