
		পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) অন্তত ১০৮ জন সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের ওইসব সদস্যকে ২০২৩ সালে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে জড়িত থাকার অভিযোগে কারাদণ্ড দেয়া হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ১ আগস্ট শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের মে মাসে দুর্নীতির মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেফতার হন ইমরান খান। এর প্রতিবাদে শুরু হয় দেশব্যাপী সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়। আদালত জানিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে ৫৮ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এই ৫৮ জনের মধ্যে সংসদ সদস্য এবং জ্যেষ্ঠ নেতারাও রয়েছেন। বাকি ব্যক্তিদের এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দেয়া হয়েছে। আদালতের আদেশ অনুযায়ী, অভিযুক্তদের মধ্যে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ-পিটিআইর জাতীয় ও সিনেটের নেতা ওমর আয়ুব খান ও শিবলি ফারাজ রয়েছেন। রায়ে বলা হয়েছে, প্রসিকিউশন সন্দেহাতীতভাবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তাদের মামলা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
আদালতের এ রায়ের নিন্দা জানিয়ে পিটিআই এক্স পোস্টে লিখেছে, পাকিস্তানের বিচারিক ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, এত দুঃখজনক ও লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে যে (সংসদের) উভয় কক্ষের বিরোধী দলের নেতাদের কেবল এই ভিত্তিতে শাস্তি দেয়া হয়েছে যে- তারা ইমরান খানের রাজনৈতিক বক্তব্য, জনপ্রতিনিধিত্ব এবং সাংবিধানিক সংগ্রামের অনুগত মিত্র ছিলেন।
এছাড়া আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করবে বলেও জানিয়েছে পিটিআই। ইমরান খানের মিডিয়া উপদেষ্টা জুলফি বুখারি বলেছেন, সর্বশেষ শাস্তির রায় গণতন্ত্রের জন্য একটি কালো দিন। একের পর এক বিরোধী নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করা যে কোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য শুভ লক্ষণ নয় এবং এটি আমাদের ইতোমধ্যেই ভঙ্গুর গণতন্ত্রকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
প্রসঙ্গত, ইমরান খান ২০২৩ সাল থেকে কারাগারে রয়েছেন। দুর্নীতি, ভূমি জালিয়াতি ও সরকারি গোপন নথি ফাঁস করার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি তিনি। আলাদাভাবে একই দাঙ্গার সাথে জড়িত অভিযোগেও বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন তিনি। তবে ইমরান খান সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এসব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তার দলকে নির্মূল করার জন্য সেনাবাহিনী-সমর্থিত অভিযানের অংশ। সেনাবাহিনী অবশ্য তার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মন্তব্য করুন