
		কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির এক আবাসিক ভবনে একটি দাতব্য চিকিৎসা সংস্থার বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ছয় ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। ৭ আগস্ট বৃহস্পতিাবার বিকেলের দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বিবিসি। দাতব্য সংস্থা অ্যামরেফ ফ্লাইং ডক্টরস জানিয়েছে, সেসনা বিমানটি বৃহস্পতিবার বিকেলে উইলসন বিমানবন্দর থেকে সোমালিয়ার হারগেইজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। উড্ডয়নের পরই বিমানটি নাইরোবির গিথুরাই এলাকার একটি আবাসিক ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়।
বিমানটিতে অ্যামেরফ এর কর্মী ও ক্রু সদস্যসহ মোট চারজন ছিলেন। নাইরোবির কিয়ামবু কাউন্টির কমিশনার হেনরি ওয়াফুলা বলেছেন, বিমানটির পাইলট, চিকিৎসক ও নার্সসহ বিমানে থাকা চার ব্যক্তি এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন। এছাড়াও বিমানের বাইরে থাকা আরও দুজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দুজন ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি। বর্তমানে গোয়েন্দা ও তদন্তকারীরা গুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
কেনিয়া সিভিল এভিয়েশন অথরিটি জানিয়েছে, টেকঅফের তিন মিনিট পরই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে বিমানটির রেডিও ও রাডার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অ্যামরেফ সিইও স্টিফেন গিটাউ এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমানে আমরা সংশ্লিষ্ট এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ও জরুরি সেবাদাতা সংস্থাগুলোকে এই ঘটনার যথাযথ তদন্দে পরিপূর্ণ সহযোগিতা করছি। ঘটনাস্থলে তল্লাশি ও উদ্ধার তৎপরতা জোরদার করতে কেনিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর ও পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ১৭ মিনিটের দিকে উইলসন থেকে উড্ডয়নের পর সোমালিল্যান্ডে যাওয়ার পথে বেলা ৩টার দিকে কাইম্বুর কাছে এটি বিধ্বস্ত হয়। কাইম্বু কান্ট্রি কমিশনার হেনরি ওয়াফুলা বলেন, আমরা পাইলটসহ চারজনকে হারিয়েছে। যে বাড়িতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে, সেখানেও দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে সংবাদ সংস্থা এএফপির সাংবাদিকদের তোলা ছবিতে দেখা গেছে, উৎসুক জনতা জড়ো হয়েছেন। এছাড়া কেনিয়া রেডক্রস ও প্রথম সাড়া প্রদানকারী দলগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষের মধ্যে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা তাশা ওয়ানজিরা এএফপিকে বলেন, ‘বিমানটি আকাশেই আগুন ধরে যায়, এরপর সেটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।’
মন্তব্য করুন