বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

ইসরাইলের সমর্থক চার্লি কার্ক ইসলামবিদ্বেষী ছিলেন

বৈশাখী ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:২৫ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা চার্লি কার্ক (৩১) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও সুপরিচিত রক্ষণশীল কর্মী ছিলেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর বুধবার ইউটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটিতে বক্তৃতা দেওয়ার সময় প্রকাশ্যে হাজারো দর্শকের চোখের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

কার্ক তার বিভিন্ন বক্তব্যে ইসরাইলের গণহত্যার পক্ষেই অবস্থান নেন। প্রায়ই তার আলোচনার মূল বিষয় থাকতো গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ, ইসলাম ও সাম্প্রতিক ইরান-ইসরাইলে সংঘাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের নানান ইস্যু। ইসলাম ও গর্ভপাত নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু হন। এমনকি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কেও চার্লি কার্ক চরম অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করেছেন। তাঁকে ‘যুদ্ধবাজ’, ‘পেডোফাইল’সহ নানা অপমানজনক শব্দে চিত্রিত করেন তিনি।

কার্ক বলেছিলেন, ‘ইসরাইলকে সমর্থন করার ব্যাপারে আমার রেকর্ড অটুট। আমি বিশ্বাস করি, বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, ইসরাইলকে দেওয়া ভূমির অধিকার বৈধ। আমি বিশ্বাস করি, এ ভবিষ্যদ্বাণী পূরণ হবে। আমার জীবন ইসরাইলে বদলে গেছে। আমি ইসরাইলের জন্য লড়ব।

কার্ক নিয়মিত গাজা বিষয়ে ইসরাইলি বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করতেন ও ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের নিষ্ঠুরতার দায় চাপাতেন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের ওপর। ঘটনার সময়কার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর কার্ক মাটিতে পড়ে যান। কাকতালীয়ভাবে কার্ক তখন যুক্তরাষ্ট্রে ধারাবাহিক গণগুলিবর্ষণ নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তিনি ‘আমাকে ভুল প্রমাণ করুণ’ শীর্ষক প্রশ্নোত্তর সেশনে বসেছিলেন। সেই সময় একজন শিক্ষার্থী গণহত্যা এবং ট্রান্সজেন্ডারবিষয়ক প্রশ্ন করায় উত্তপ্ত বিতর্কের এক পর্যায়ে ছাদ বা জানালা থেকে একাধিক গুলি চালানো হয়। কার্ক ঘটনাস্থলেই মারা যান, তবে তাঁর স্ত্রী ও সন্তান অক্ষত ছিলেন। হামলাকারীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

৩১ বছর বয়সে চার্লি কার্কের হত্যাকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক সহিংসতার ভয়াবহ মাত্রা সামনে এনেছে। সমর্থকেরা তাঁকে দেশপ্রেমিক ও নির্ভীক নেতা হিসেবে স্মরণ করছেন, আর সমালোচকেরা বলছেন, তাঁর উসকানিমূলক রাজনীতি দ্বন্দ্বকে ঘনীভূত করেছে।প্রাথমিকভাবে দুজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হলেও পরে প্রমাণের অভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হামলাকারীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ইউটার গভর্নর স্পেনসার কক্স এ হত্যাকাণ্ডকে সরাসরি রাজনৈতিক বলে উল্লেখ করেছেন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ফিলিপাইনে টাইফুন কালমেগির তাণ্ডব, নিহত ৫৮
ফিলিপাইনে টাইফুন কালমেগির তাণ্ডব, নিহত ৫৮
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হলেন জোহরান মামদানি
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হলেন জোহরান মামদানি
৫ নভেম্বর: ইতিহাসে এই দিনে আলোচিত ঘটনা
৫ নভেম্বর: ইতিহাসে এই দিনে আলোচিত ঘটনা
ছত্তিশগড়ে ২ ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত ১০
ছত্তিশগড়ে ২ ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত ১০