
		নেপালে দুর্নীতিবিরোধী সহিংস বিক্ষোভে এ সপ্তাহে অন্তত ৫১ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দেশটির পুলিশের দেয়া তথ্যে এ সংখ্যা জানানো হয়েছে। দেশটিতে সরকারের পতনের পর তৈরি হওয়া পরিস্থিতির পূর্ণ চিত্র ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
এরমধ্যেই রাষ্ট্রপতি, বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধি, অন্তর্বর্তী প্রশাসনের সম্ভাব্য নেতৃত্বে থাকা কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে আলোচনা চলছে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে অন্তত ২১ জন বিক্ষোভকারী রয়েছেন। নিহতরা মূলত সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা, দুর্নীতি ও দুর্বল শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের দমন ও পীড়নে প্রাণ হারান।
মঙ্গলবার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। ক্ষুব্ধ জনতা সংসদ ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপরই প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করেন। তখনই সেনাবাহিনী রাস্তায় নামে এবং নিয়ন্ত্রণ নেয়। শুক্রবার নেপালের সেনাবাহিনী জানায়, বিক্ষোভ চলাকালে লুট হওয়া ১০০টির বেশি বন্দুক তারা উদ্ধার করেছে।
পুলিশের মুখপাত্র বিনোদ ঘিমিরে এএফপিকে বলেন, এ সপ্তাহে এখন পর্যন্ত ৫১ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ২১ জন বিক্ষোভকারী এবং ৩ জন পুলিশ সদস্য।
তিনি আরো জানান, সহিংসতার সময় দেশজুড়ে একাধিক কারাগার থেকে পালানো প্রায় ১৩,৫০০ কয়েদির মধ্যে ১২,৫৩৩ জন এখনও পলাতক। নিহতদের মধ্যে জেল পালানো কয়েকজন কয়েদিও ছিলেন।
এদিকে, জেল থেকে পালানো অনেকে প্রতিবেশী ভারতের সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করলেও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বেশিরভাগ কয়েদিকে আটক করেছে।
মন্তব্য করুন