
		নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশিলা কার্কি বলেছেন, সাম্প্রতিক জেন-জি বিক্ষোভ চলাকালে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর ছিল রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধমূলক কাজ। এসব অপরাধ তদন্ত করে সত্য উন্মোচন করতে হবে এবং দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। দায়িত্ব গ্রহণের পর সিংহদরবার থেকে প্রথম ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
কার্কি জানান, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও আহতদের চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি তার সরকার নির্বাচনের আয়োজন করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, মাত্র ২৭ ঘণ্টার বিক্ষোভেই যে পরিবর্তন ঘটেছে, তা আমি আগে কখনো দেখিনি। এই প্রজন্মের দাবিগুলো পূরণ করতে হলে আমাদের দৃঢ় সংকল্প নিয়ে কাজ করতে হবে। আমি ইচ্ছা করে আসিনি, আপনাদের আহ্বানেই এই দায়িত্ব নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী কার্কি আরও বলেন, আন্দোলনের নামে যা ঘটেছে, তা পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে, যা ষড়যন্ত্রের প্রশ্নও উত্থাপন করেছে।তিনি সিংহদরবার, সংসদ ভবন, সুপ্রিম কোর্ট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিমালিকানাধীন স্থাপনায় ভাঙচুরের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
এদিকে নেপালে রক্তক্ষয়ী জেনজি বিক্ষোভ শেষে, সরকার গঠন নিয়ে অচলাবস্থার অবসান হয়েছে। আজ রোববার অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সুশীলা কার্কি। সিংহদরবারে দায়িত্ব নেওয়ার আগে সকালে তিনি লাইনছউরের শহীদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। দায়িত্ব গ্রহণের দিনই তিনি জেন-জি বিক্ষোভে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দেন।
তার সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতিটি নিহত পরিবারের জন্য ১০ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। একইসঙ্গে নিহতদের ‘শহীদ’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে হিমালয়ান টাইমস।সরকার আরও জানিয়েছে, বিক্ষোভে আহত ১৩৪ জন আন্দোলনকারী ও ৫৭ জন পুলিশ সদস্যের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া বিক্ষোভকালে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরির নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। সরকারি হিসাবে, বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত মোট ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৫৯ জন আন্দোলনকারী, ১০ জন বন্দি এবং ৩ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন।
মন্তব্য করুন