
		ইউরোপীয় দেশ পর্তুগালও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। আগামী রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা আসবে বলে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো রেঞ্জেল চলতি সপ্তাহে যুক্তরাজ্য সফরের সময়ই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, দেশটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে। জাতিসংঘের আসন্ন উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনের আগেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
পর্তুগিজ সংবাদমাধ্যম কোরিও দা মানহা জানিয়েছে, ডানপন্থি প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টেনেগ্রো এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্টের সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন। প্রায় ১৫ বছরের দীর্ঘ বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে এই স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। ২০১১ সালে প্রথম বামপন্থি দল লেফট ব্লক সংসদে এই প্রস্তাব তোলে।
চলতি বছরের জুলাইয়ে পর্তুগাল প্রথমবার জানায় যে তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। দেশটি তখন বলেছিল, গাজায় যুদ্ধের ভয়াবহতা, মানবিক বিপর্যয় এবং ইসরায়েলের দখলদারিত্বের হুমকি এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে মূল কারণ।
এর আগে গত বছরের মে মাসে প্রতিবেশী স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তখন স্পেইন অন্যান্য ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোকেও একই পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছিল।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ সদস্যদেশের মধ্যে মাত্র কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে কিছু সাবেক কমিউনিস্ট রাষ্ট্র, সুইডেন ও সাইপ্রাস। আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যে দেশগুলো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পরিকল্পনা করেছে, সেগুলোর মধ্যে ফ্রান্স যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গের নাম রয়েছে।
এরই মধ্যে জাতিসংঘের ১৪৭টি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটি জাতিসংঘের মোট সদস্য দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ।
মন্তব্য করুন