
গাজা উপত্যকায় উত্তেজনাপূর্ণ এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ফের ত্রাণ পাঠানোর ঘোষণা দিলো ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি)। আরও ১১ জাহাজ পাঠানোর মাধ্যমে নতুন করে ত্রাণ পাঠানোর ঘোষণা দিয়ে আন্তর্জাতিক মানবিক অঙ্গনে নতুন করে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এফএফসির বরাতে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদুলু এজেন্সি জানায়, ইতালি ও ফ্রান্সের পতাকাবাহী দুটি জাহাজ গত ২৫ সেপ্টেম্বর ইতালির ওৎরান্তো বন্দর থেকে গাজার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
পরে ৩০ সেপ্টেম্বর আরও নয়টি নৌযান বহরে যুক্ত হয়। সবমিলিয়ে ১১টি জাহাজে প্রায় ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবী ও ক্রু রয়েছেন, যারা শিগগিরই একত্র হয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ বহর হিসেবে গাজার দিকে অগ্রসর হবেন।
এর আগে চলতি বছরের আগস্টে এই জোট ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামে বৃহৎ আকারের একটি ত্রাণ মিশন চালু করে। সেই বহরে অংশ নেন সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি ম্যান্ডলা ম্যান্ডেলা, এবং ৪৪টি দেশের প্রায় ৫০০ জন পার্লামেন্ট সদস্য, আইনজীবী, স্বেচ্ছাসেবী ও অধিকারকর্মী।
৩১ আগস্ট স্পেন থেকে রওনা দেওয়া সেই বহরের অধিকাংশ নৌযান গাজার উপকূলে পৌঁছার আগেই ইসরায়েলি নৌবাহিনী আটক করে নিয়ে যায়। আরোহীদের জোরপূর্বক ইসরায়েলি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হলে বিশ্বব্যাপী তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
ইসরায়েল প্রায় ১৮ বছর ধরে ২৪ লাখ গাজাবাসীর থাকার স্থান গাজাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে এবং চলতি মাসের মার্চ মাসে আরও কঠোর করেছে অবরোধ। ওই সময় থেকে তারা তারা সীমান্ত ক্রসিং বন্ধের পাশাপাশি, খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে, যার ফলে দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছে পুরো উপত্যকা।
মন্তব্য করুন