
		আলোকচিত্রী ও লেখক শহিদুল আলমসহ ফ্রিডম ফ্লোটিলার ‘কনশানস’ জাহাজের সব সাংবাদিক, স্বাস্থ্যকর্মী ও ক্রু সদস্যকে বুধবার (৮ অক্টোবর) ভোরে ইসরাইলি দখলদার বাহিনী অপহরণ করে। তবে সে বন্দিদশা থেকে অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন শহিদুল আলম। টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে তিনি আজ (১০ অক্টোবর) বিকেলে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছেছেন।
একটি ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। শহিদুল আলমের মুক্তি ও ইসরায়েল থেকে তাঁর প্রত্যাবর্তনে সহায়তার জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
ইসরাইলের সবচেয়ে বড় আটককেন্দ্র কেৎজিয়েত কারাগার নেগেভ মরুভূমিতে অবস্থিত। এখানে ফিলিস্তিনি বন্দীদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয় বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ইসরায়েলে আটক হওয়ার পর থেকেই শহিদুল আলমের মুক্তি নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকার জর্ডান, মিশর ও তুরস্কের মাধ্যমে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে আসছিল। অবশেষে সে বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন শহিদুল আলম। শিগগিরই তিনি দেশে ফিরে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, শহিদুল আলম দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ফিলিস্তিনে ইসরাইলের নৃশংসতা বন্ধে এবং গাজায় ইসরাইলি নৌ অবরোধ ভাঙার প্রত্যয় নিয়ে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন নৌযাত্রা শুরু করেছিল গাজা অভিমুখে।
ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে আত্মপ্রকাশ করা আরেক উদ্যোগ থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজার আটটি নৌযানও এ যাত্রায় অংশ নিয়েছিল। মোট ৯টি নৌযানের এ বহরে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকারকর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন