
		বিগত কয়েক দশকে আফগানিস্তান ছেড়ে ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাড়ি দেওয়া হিন্দু ও শিখ ধর্মাবলম্বীদের দেশে ফিরে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। সরকার তাদের পুরনো সম্পত্তি ও ব্যবসা ফেরাতে সহায়তা করবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি দিল্লি সফরের সময় আফগান দূতাবাসে এক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ১৩ জন হিন্দু ও শিখ প্রতিনিধি, যারা কয়েক দশক আগে দেশ ছেড়েছিলেন। তবে তাদের দাবি, আফগানিস্তানে এখনও ফেরার মতো ‘নিরাপদ পরিবেশ’ তৈরি হয়নি।
আমির খান মুত্তাকি কথা দিয়েছেন, এই হিন্দু ও শিখরা আফগানিস্তানে ফিরলে তাদের পুরোনো সম্পত্তি ফিরে পেতে এবং পুরনো ব্যবসাপাতির নিয়ন্ত্রণ নিতে সরকার তাদের সাহায্য করবে।
আফগানিস্তানে একসময় বিপুল সংখ্যক হিন্দু, শিখ ও অন্য ধর্মাবলম্বীর মানুষ থাকলেও যুদ্ধ-সংঘাতসহ নানা কারণে তাদের বেশিরভাগই দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। মার্কিন সেনা প্রত্যহারের পর আবারও ক্ষমতায় তালেবান। স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতাও চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।
এই মুহুর্তে পুরো আফগানিস্তানে মাত্র ৫০ জনের মতো হিন্দু ও শিখ রয়ে গেছেন বলে ওই প্রতিনিধিদলের হিসাব। তাদের মধ্যে ১৫ জনের মতো রয়েছেন কাবুলে, ১০-১২ রয়েছেন জালালাবাদে। এছাড়াও গজনী, হিরাটসহ দেশের আরও নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন আরও কয়েকজন হিন্দু ও শিখ।
আফগান-বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে তালেবান এমন বার্তা দিতে চাইছে, যেন তারা ধর্মীয় সহনশীলতার ভাবমূর্তি তুলে ধরতে পারে।
মন্তব্য করুন