
সীমান্তে সাম্প্রতিক সংঘাতের প্রেক্ষিতে প্রতিবেশী কম্বোডিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত ‘শান্তি চুক্তি’ বাস্তবায়ন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে থাইল্যান্ড। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের তত্ত্বাবধানে চুক্তি সইয়ের মাত্র দুই সপ্তাহ পরই এই ঘোষণা এল।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রয়্যাল থাই আর্মি এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেয়। থাইল্যান্ডের সরকারি এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, সিসাকেত প্রদেশে কম্বোডিয়া সীমান্তের কাছে একটি স্থলমাইন বিস্ফোরণে সেনারা আহত হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কম্বোডিয়া জানিয়েছে, তারা এখনও চুক্তিতে অঙ্গীকারবদ্ধ রয়েছে।
এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত নিয়ে বিরোধ চলছে। গত জুলাইয়ে সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে থাইল্যান্ডের সেনা নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কম্বোডিয়ার সঙ্গে দেশটির সেনারা সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন।
গত জুলাইয়ে দুই দেশের সীমান্ত সংঘাতে অন্তত ৪০ জন নিহত হওয়ার পর এই চুক্তির লক্ষ্য ছিল স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা। গত অক্টোবর মাসে মালয়েশিয়ায় ট্রাম্পের উপস্থিতিতে এই চুক্তি সই হয়। ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের পাশাপাশি চীনা কূটনীতিক ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের মধ্যস্থতায় ২৯ জুলাই থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া প্রাথমিকভাবে অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়। এরপর গত অক্টোবরের শেষে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে উভয় দেশ যৌথ ঘোষণাপত্রে সই করে।
দুই বিবাদমান পক্ষই চুক্তিতে সই করেছিল। যদিও থাইল্যান্ড এই চুক্তিকে “শান্তি চুক্তি” বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। নতুন যৌথ ঘোষণা অনুযায়ী, উভয় পক্ষ সীমান্ত এলাকা মাইনমুক্ত এবং ভারী অস্ত্র প্রত্যাহার করবে। অস্ত্রবিরতি মূল্যায়নের জন্য আসিয়ানের চুক্তি পর্যবেক্ষক দলের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি কয়েক মাস ধরে আটকে রাখা কম্বোডিয়ার ১৮ সেনাকে মুক্তি দেবে থাইল্যান্ড। কম্বোডিয়ার সেনাদের মুক্তি দেওয়া ছিল চুক্তির পরবর্তী ধাপ।
চুক্তির পর কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, তারা থাই সীমান্ত থেকে ভারী ও ধ্বংসাত্মক অস্ত্র প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। তবে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে থাই প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল বলেন, দেশের প্রতিরক্ষা প্রধানদের সিদ্ধান্তের সঙ্গে তিনি একমত। “নিরাপত্তা হুমকি বাস্তবে এখনও কমেনি।
মন্তব্য করুন