শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫

নেতানিয়াহুকে ক্ষমা করে দিতে ট্রাম্পের আহ্বান

বৈশাখী ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১০:০৬ এএম

চলমান দুর্নীতি মামলায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ‘পূর্ণ ক্ষমা’ চেয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই চিঠি তিনি সরাসরি ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগের উদ্দেশ্যে লিখেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। গত পাঁচ বছর ধরে ঘুষ, জালিয়াতি ও বিশ্বাসভঙ্গের তিনটি মামলায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিচার চলছে। যদিও তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে প্রকাশিত ওই চিঠিতে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমি আপনাকে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সম্পূর্ণরূপে ক্ষমা করার আহ্বান জানাচ্ছি। যুদ্ধকালীন তিনি একজন শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন তিনি ইসরায়েলকে শান্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।’

চিঠি অনুযায়ী ট্রাম্প ইসরায়েলের বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতাকে “সম্পূর্ণভাবে সম্মান” করেন, তবে তার বিশ্বাস, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে মামলাগুলো “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অযৌক্তিক।”

হারজগের দপ্তর জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে তারা “অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে” বিবেচনা করেন, তবে ক্ষমা চাইতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মে আনুষ্ঠানিক আবেদন করতে হয়।

নেতানিয়াহু পরে ট্রাম্পকে তার “অসাধারণ সমর্থনের” জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (টুইটার) লেখেন, “আপনি সবসময় সরাসরি বলেন, যেভাবে বিষয়টা আসলে আছে। আমি আমাদের নিরাপত্তা জোরদার ও শান্তি প্রসারে অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখার অপেক্ষায় আছি।”

এদিকে ট্রাম্পের এই চিঠি ইসরায়েলের রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

কট্টর ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গাভির এক্সে লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট হেরজগ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কথা শুনুন!’ তিনি দাবি করেন, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই অভিযোগের’ শামিল হয়েছে।

বিরোধী দলের নেতা ইয়াইর লাপিদ বলেন, ‘মনে রাখবেন, ইসরায়েলি আইনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির ক্ষমার প্রথম শর্ত হলো দোষ স্বীকার করা এবং অনুশোচনা প্রকাশ করা।’

২০২০ সালে নেতানিয়াহু ইসরায়েলের ইতিহাসে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়ান।

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে প্রথম মামলায় অভিযোগ, তিনি প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সিগার ও শ্যাম্পেন উপহার হিসেবে নিয়েছিলেন এবং এর বিনিময়ে সুবিধা দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় মামলায় বলা হয়েছে, এক সংবাদপত্রকে ইতিবাচক কাভারেজ দেওয়ার বিনিময়ে তার প্রচারসংখ্যা বাড়াতে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু।

আর তৃতীয় মামলায় অভিযোগ, তিনি একটি ইসরায়েলি টেলিকম কোম্পানির মালিককে সুবিধা দিতে নিয়ন্ত্রক সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলেছিলেন, যাতে তাদের নিউজ ওয়েবসাইটে তার পক্ষে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
মুর্শিদাবাদে আজ 'বাবরি মসজিদের' ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
মুর্শিদাবাদে আজ 'বাবরি মসজিদের' ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি
পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি
‘ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পদক্ষেপ জরুরি’
‘ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পদক্ষেপ জরুরি’
পশ্চিম তীরের পাঁচটি ঐতিহাসিক নিদর্শন জব্দ করল ইসরাইল
পশ্চিম তীরের পাঁচটি ঐতিহাসিক নিদর্শন জব্দ করল ইসরাইল