
		নিজস্ব প্রতিবেদক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা বাড়িয়ে হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। আগামীকাল রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছ। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চে এ বিষয়ে চতুর্থ দিনের শুনানি হয়।পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানান, এই মামলার আবেদনই ত্রুটিপূর্ণ ছিল। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য পতিত স্বৈরাচারী সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে জেলে পাঠিয়েছিল। আগামীকাল মামলার রায়ে খালেদা জিয়া নি:শর্ত মুক্তি পাবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।এর আগে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) ১১ নভেম্বর মঞ্জুর করে ১০ বছরের কারাদণ্ড স্থগিতের আদেশ দেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ।শুনানিতে দুদকের আইনজীবী মো. আসিফ হাসান আদালতকে বলেছিলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের টাকা কিন্তু আত্মসাৎ হয়নি। জাস্ট ফান্ডটা মুভ হয়েছে। তবে সুদে-আসলে অ্যাকাউন্টেই টাকাটা জমা আছে। কোনো টাকা ব্যয় হয়নি।অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এই মামলায় খালেদা জিয়ার দেওয়া ৩৪২ ধারায় বক্তব্য তুলে ধরে সর্বোচ্চ আদালতকে বলেন, কবি কাজী নজরুল ইসলামের সেই রাজবন্দির জবানবন্দির প্রতিফলন বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যে উঠে এসেছে। বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, এতিম তহবিল সংক্রান্ত কোনো অনুদান গ্রহণ বা বিতরণের সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন না।
মন্তব্য করুন