
		নিজস্ব সংবাদদাতা: শেখ হাসিনাই পুলিশকে মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন। তার নির্দেশে জুলাই আগস্টের ছাত্র জনতার আন্দোলনে গুলি করে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। ২৪ এর ৫ আগস্টে চানখারপুল এলাকার হত্যাকাণ্ড নিয়ে দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য ওঠে এসেছে বলে জানানো হয়। সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রথম ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলো।
২৪ এর পাঁচ আগস্টে রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় আন্দোলনকারিদের উপর পুলিশের মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণে কেঁপে উঠে পুরো এলাকা। রুখে দাঁড়ায় ছাত্র জনতা। পরিস্থিতি রূপ নেয় রণক্ষেত্রে।
সেদিন গুলিতে হত্যার শিকার হন ৬ জন। শিক্ষার্থী শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদি হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, রাকিব হাওলাদার, ইসমাইল হক ও মানিক মিয়া চানখারপুলে শহীদ হন।
এ ঘটনার তদন্ত শেষ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। ৬ মাস ১৩ দিন সময় নিয়ে ৯০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ৮ জনকে। এরমধ্যে পুলিশ কর্মকর্তা আরশাদ, কনস্টেবল সুজন, ইমাজ ও নাসিরুল গ্রেপ্তার হয়েছেন।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, সকল গণহত্যার নির্দেশদাতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে মামলায় তাকে আসামি করা হয়নি।
চানখারপুলে ৫ আগস্টে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি অংশের তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। বাকি ঘটনার তদন্ত চলমান আছে। তদন্তে যাদের নাম আসবে তাদেরই আসামি করা হবে।
জুলাই আগস্টের গণআন্দোলনে হত্যা, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার প্রথম তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলো। শিগগিরই বিচার শুরু হবে বলে জানান চিফ প্রসিকিউটর।
মন্তব্য করুন