
		পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য মোবাইল ফোনে ব্যয় থেকে এক শতাংশ সারচার্জ আদায় বন্ধের দাবিতে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেছে ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি’ (সিসিএস)।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মোঃ হামিদুর রহমানের বেঞ্চে (এনেক্স-২৪) পিটিশনটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ কে এম আজাদ হোসেন। রিটে বাদী হয়েছেন সিসিএস-এর নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ। আইনজীবী এ কে এম আজাদ জানিয়েছেন, রিটটির শুনানি আগামী সপ্তাহে হতে পারে।
এর আগে, আইনি পদক্ষেপের প্রথম ধাপ হিসেবে গত ৪ জুন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সচিব, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি এবং টেলিটক কর্তৃপক্ষকে এ নোটিশ পাঠায় সিসিএস। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাত দিনের মধ্যে সারচার্জ বন্ধ করার দাবি জানানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের খরচের ওপর এক শতাংশ সারচার্জ ২০১৬ সালে আরোপ করা হয়, যা এখনো চলছে। এর মাধ্যমে ভোক্তাদের কাছ থেকে ইতোমধ্যে দুই হাজার কোটি টাকার বেশি আদায় করা হয়েছে। কিন্তু ২০২২ সালে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ার পরও এই সারচার্জ বন্ধ করা হয়নি।
নোটিশে আরও বলা হয়, ২০১৫ সালে সরকার ‘উন্নয়ন সারচার্জ ও লেভি (আরোপ ও আদায়) আইন’ প্রণয়ন করে। এই আইনের অধীনে ২০১৬ সালের ১০ মার্চ অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার সারচার্জ আদায় শুরু করে।
তবে আইনের ৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, সরকার সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারিত মেয়াদে উন্নয়ন সারচার্জ আদায় করতে পারবে। কিন্তু প্রজ্ঞাপনে কোনো মেয়াদ নির্দিষ্ট না করেই সারচার্জ আদায় শুরু হয়, যা আইন পরিপন্থী। ফলস্বরূপ, ৯ বছর ধরে সারচার্জ আদায় চললেও তা বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেই।
পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ায় এবং নির্দিষ্ট মেয়াদ ছাড়াই সারচার্জ আদায়ের মাধ্যমে ভোক্তাদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মনে করে সিসিএস। এই কারণেই ভোক্তা অধিকার সংস্থা হিসেবে তারা আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় সিসিএস।
মন্তব্য করুন