
		নিজস্ব প্রতিবেদক: এবার পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি পদমর্যাদার আরও তিন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।তারা হলেন-পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর মল্লিক ফখরুল ইসলাম, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজি সেলিম মো. জাহাঙ্গীর এবং পুলিশ টেলিকমের অতিরিক্ত আইজি ওয়াই এম বেলালুর রহমান।বুধবার (১ জানুয়ারি) এক প্রজ্ঞাপনে সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ ধারাবলে ‘জনস্বার্থে’ তাদের অবসরে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।এ ধারাবলে সরকার চাইলে কারণ দর্শানো ছাড়াই প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্মচারীকে চাকরি থেকে অবসর দিতে পারে। এতে চাকরি হারানো কারও আপিলেরও সুযোগ থাকে না।সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ ধারায় বলা হয়েছে, চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পর সরকার যেকোনো সময় কোনো কর্মকর্তাকে পেনশনে পাঠাতে পারবে। তবে এসময় তিনি সব সুযোগ-সুবিধা বা পেনশনাদি পাবেন।পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য বলছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এ তিনজনসহ এখন পর্যন্ত চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পার হওয়া ৩০জন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয় অতিরিক্ত আইজি দেবদাস ভট্টাচার্য ও আরআরএফের পুলিশ সুপার মীজানুর রহমান, শিল্পাঞ্চল পুলিশের ডিআইজি (সুপার নিউমারারি অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) এ কে এম হাফিজ আক্তার, রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের টেলিকমের ডিআইজি (সুপারনিউমারারি অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বশির আহম্মদ, ঢাকা মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার শামীম অর রশীদ তালুকদার, এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম এবং ডিএমপির সহকারী পুলিশ সুপার মো. দাদন ফকিরকে।তারও আগে গত ২২ অগাস্ট বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয় পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজি মোহাম্মদ আলী মিয়া, শিল্পাঞ্চল পুলিশের প্রধান (অতিরিক্ত আইজি) মো. মাহাবুবর রহমান এবং পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্রকে।এর আগের দিন ২১ অগাস্ট অবসরে পাঠানো হয় পুলিশের সদরের অতিরিক্ত আইজি আতিকুল ইসলাম, সংখ্যাতিরিক্ত অতিরিক্ত আইজি হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত আনোয়ার হোসেন এবং ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিআইজি পদমর্যাদার) মো. আসাদুজ্জামানকে।আর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর গত ১৩ আগস্ট এসবির অতিরিক্ত আইজি মনিরুল ইসলাম ও ডিএমপির সদ্য সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানকে অবসরে পাঠানো হয়।একই দিনে অবসরে পাঠানো হয় রংপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার (ডিআইজি পদমর্যাদার) মো. মনিরুজ্জামান ও পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আবদুল বাতেনকে।
মন্তব্য করুন