
		নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ আমলে দেশের বিভিন্নস্থানে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ও কিল্লা নির্মাণের নামে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সরকারি অর্থ অপচয়ের পেছনে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
এছাড়া বিগত সরকারের সময় সুবিধাভোগী কয়েকজন রাজনীতিবিদ, আমলা ও ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ ও লুটপাটের অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা করেছে সংস্থাটি।
মুজিববর্ষ পালন উপলক্ষে সারাদেশে ১০ হাজারের বেশি ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণ করেছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য বলছে, এতে খরচ হয় প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। বিপুল পরিমাণ এই অর্থ অপচয়ের পেছনে কারা জড়িত বা কিভাবে ব্যয় করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক।
একইভাবে মুজিব কিল্লা নির্মাণ ও উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা তছরুপের খোঁজ করবে সংস্থাটি।
এদিন, বেশ কয়েকটি মামলাও করেছে দুদক। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ বিএফআইইউর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস ও তার স্ত্রীর নামে ২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়াদ্দার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ মিলেছে।
সরকারি প্রকল্পের টাকা লোপাটের মামলায় জড়িয়েছেন সাবেক ডাক বিভাগের মহাপরিচালক শুধাংশু শেখর ভদ্র। তার বিরুদ্ধে প্রায় ৯২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনেছে দুদক। ঋণের নামে ৫শ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কেয়া গ্র“পের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
আর নতুন করে ব্যাংকে ১৩৪ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামী কবির হোসেন তাপসের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
মন্তব্য করুন