
		তারেক সিকদার : ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পে রেলওয়ের এক বছরের আয় মাত্র ২০ কোটি টাকা। অথচ কয়েকগুণ বেশি যাত্রী চাহিদা এই পথে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রকল্পে ব্যয় বেশি করলেও, সে অনুপাতে সরঞ্জামের ব্যবস্থা না করায় এই চিত্র। সম্ভাব্যতা যাচাই ও ব্যয় বাড়ানোর ক্ষেত্রে কোন গাফিলতি বা দুর্বলতা ছিলো কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান রেলওয়ের বিদায়ী সচিব।
চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এই রেল প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয় ২০১০ সালে। এশিয় উন্নয়ন ব্যাংকের ঋণে ১০১ কিলোমিটার এই রেল লাইনের কাজ শুরু হয়।
দীর্ঘ ১৩ বছরে কয়েক ধাপে বাড়ানো হয় এর বাজেট। সর্বশেষ ১৮ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয় বাড়িয়েছিলো বিগত সরকার। ২০২৩ সালের পহেলা ডিসেম্বর থেকে এই পথে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। মাত্র দুটি ট্রেন ঢাকা-কক্সবাজার আসা যাওয়া করে। এই দুটি ট্রেন পুরো বছরে আয় করেছে ৫৩ কোটি টাকা। এর বাইরে আরও একটি ট্রেন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলে। সব মিলে প্রায় ৭০ কোটি টাকা মতো আয় হয়েছে। তবে এসবের পিছনে খরচ হয়েছে আরও অন্তত ৫০ কোটি টাকা।
কয়েকগুণ বেশি টিকিটের চাহিদা থাকা স্বত্ত্বেও কেন আয় কম? উত্তর দিলেন রেলওয়ের সদ্য বিদায়ী মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলী।
এই প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে কিনা সে প্রসঙ্গে কথা বলেছেন রেলওয়ের বিদায়ী সচিব আবদুল বাকী। বিভিন্ন সংস্থা এই প্রকল্পের ব্যয় নিয়ে তদন্ত করছে বলে জানান তিনি।
ঢাকা চট্টগ্রামের পাশাপাশি চাঁদপুর ও সিলেট থেকেও কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানো হবে বলে জানায় রেল কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন