
		মাবুদ আজমী : নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে রাজধানীর সড়কগুলোতে অবাধে চলছে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানের পরিবহন। এতে সড়কে যানজটের পাশাপাশি বাড়ছে বিশৃঙ্খলা। সেবামূলক এসব প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগ প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা অ্যাপে চলার কথা থাকলেও, এটি এখন চুক্তির বাহনে পরিণত হয়েছে। বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান জানান, যারা নিয়ম মানছে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২০১৬ সালে যাত্রা শুরু পর রাজধানী ঢাকায় হু হু করে বেড়েছে অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং বাহন। প্রথমদিকে অ্যাপের মাধ্যমে চললেও সময়ের ব্যবধানে এখন এটি খ্যাপের বাহনে পরিণত হয়েছে। ফলে সড়কে বাড়ছে বিশৃঙ্খলা।
বিশেষ করে নিয়মনীতি না মানায় ঢাকায় খুব দ্রুত বেড়েছে। বাইকারের সংখ্যা। ট্রাফিক আইন অমান্য ও ফুটপাত দিয়ে যত্রতত্র চলাচল করা এখন যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে মোটরসাইকেলের জন্য।
যদিও সরকারি নীতিমালা রয়েছে অ্যাপভিত্তিক এসব রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানের জন্য। চলার কথা অ্যাপে। কিন্তু এটি এখন চুক্তিভিত্তিক বাহনে পরিণত হয়েছে। চালকরা বলছেন, প্রতিষ্ঠানগুলো কমিশন বেশি কেটে নেয়ায় চুক্তিতে চলতে হচ্ছে তাদের।
আর যাত্রীরাও চুক্তি করে যাচ্ছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। ঝূঁকি থাকলেও, জ্যামের কারণে সময় বাঁচাতে মোটরসাইকেলকেই বেছে নিচ্ছেন যাত্রীরা।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াসীন জানিয়েছেন, দেশে ২০টির বেশি রাইড শেয়ারিং কোম্পানিকে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। তাদের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স নবায়ন করেননি। আইন অমান্য করে চলা রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান বিআরটিএ চেয়ারম্যান।
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ ও লাইসেন্স নবায়ন না করে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ট্রাফিক বিভাগের সাথে নিয়মিত অভিযান চালানোর কথা জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান।
মন্তব্য করুন