
		অনলাইন ডেস্ক: আওয়ামী লীগের আমলে প্রভাব খাটিয়ে তিনটি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে একশো কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া এমদাদ হোসেনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
আজ (১৪ জানুয়ারি) মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে তোলা হলে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন বিচারক মো. এনামুল হক মিয়া। গতকাল সোমবার গুলশান এলাকা থেকে আটক করে গুলশান থানা পুলিশ।
বৈশাখী টেলিভিশনে প্রতারণার নিউজ প্রচারের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের তাৎপরতায় এমদাদ হোসেনকে আটক করা হয়।
এমদাদ হোসেন, নারায়ণগঞ্জের ফতুল¬া উপজেলার আলীগঞ্জের বাসিন্দা। সাহারা নিটার্স, মার্প নিট কম্পোজিট ও সাহারা ব্রিকসের মালিক দেখিয়ে দু’টি বেসরকারী ব্যাংক ও একটি ফাইনান্সিং প্রতিষ্ঠান থেকে একশো কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন এমদাদ হোসেন।
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক মতিঝিল প্রধান শাখা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মেসার্স সাহারা নিটার্স এর নামে ২২ কোটি টাকা ও মেসার্স মার্প নিট কম্পোজিট লিমিটেডের জন্য ১০ কোটি টাকাসহ মোট ৩২ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছিলো এমদাদ হোসেন। তার বিরুদ্ধে ৫টি মামলা করেছে কমার্স ব্যাংক।
এছাড়া সাহারা গ্রিন ব্রিকস দেখিয়ে ৬০ কোটি টাকা নিয়েছে লঙ্কা বাংলা ফাইনান্স থেকে। ঋণ নিতে যে পরিমাণ সম্পত্তি জামানত দেয়ার কথা তা না দিয়েই প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের সহায়তায় টাকা তুলে নেন তিনি। জামানত হিসেবে থাকা সম্পত্তিও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিক্রি করতে পারছে না আইনিসহ নানা জটিলতার কারণে। প্রতিষ্ঠানটির কাছে ফ্ল্যাট বন্ধক না রেখে ফ্ল্যাট ঋণের বিপরীতে ২ কোটি টাকারও বেশি নিয়েছেন এমদাদ হোসেন। ইতিমধ্যে আদালতের শরনাপন্ন হয়েছে লঙ্কা বাংলা ফাইনান্স।
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক থেকে সাহারা এগ্রো ফিশারিজ এর নামে যে পরিমাণ ঋণ নিয়েছেন এমদাদ হোসেন, তার পুরোটাই জালিয়াতি করে। বিক্রি করে দেয়া সম্পত্তি জামানত দিয়ে ঋণ নিয়েছেন এই ব্যাংক থেকে। এমদাদ হোসেনের কাছে গ্লে¬াবাল ইলসামী ব্যাংক পাবে ১০ কোটি টাকার বেশি।
মন্তব্য করুন