
		নিজস্ব প্রতিবেদক: রফিকুল আমিন। ৫০ লাখ গ্রাহকের শুধু কর্তাই নন, তাদের স্বপ্ন এই সৃজনশীল ব্যবসায়ীকে ঘিরে। ৫০ লাখ গ্রাহকের কেউ একটি মামলা না করলেও কারাগারে যেতে হয়েছিলেন তাকে। কারাগারের অন্ধ প্রকৌষ্টে থাকতে হয়েছে দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময়।
কারাগারে নিক্ষেপ করে জীবনের ১২টি সোনালী বছর নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছিলো দেশের ব্যবসায় নতুনত্ব আনা এই উদ্যোক্তাকে। স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ শাসনমালে দেশে আইনের শাসন না থাকলেও বিন্দুমাত্র আইনের প্রতি শ্রদ্ধা হারাননি তিনি।
অবশেষে বুধবার কেরাণীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন বৈশাখী টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। মুক্তি পেয়েই কারাগার থেকে সরাসরি ছুটে আসেন তাঁর প্রিয় প্রতিষ্ঠান বৈশাখী টেলিভিশনে। সেখানে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। তার কার্যালয়ে বসে তিনি কৃতজ্ঞতা জানান ডেসটিনি ও বৈশাখী পরিবারের সদস্যদের।
রফিকুল আমিন এসময় বলেন সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক মামলা করা হয়েছিলো তাঁর নামে। রিমান্ডে নিয়ে বিগত সরকারের সময় দেশ ছাড়ার শর্ত দিয়েছিলো তাকে। শর্ত না মানায় মুক্তি মেলেনি বলেও দাবি করেন তিনি। এসময় তার আইনজীবী এহসানুল হক সামাজী দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ের বর্ণনা দেন।
২০১২ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-বিপিএল ক্রিকেটের প্রথম আসরের টাইটেল স্পন্সর ছিলো ডেসটিনি-২০০০। স্বপ্ন দ্রষ্টা রফিকুল আমিনের উৎসাহেই বিপিএলের প্রথম আসরে যুক্ত হয়েছিলো ডেসটিনি। ২০১০ সালে বলিউড সুপার স্টার কিং খান খ্যাত শাহরুখ খান প্রথমবার বাংলাদেশে এসে দর্শকদের জন্য পারফরম্যান্স করেন। সেটার স্বত্ত্ব ছিলো বৈশাখী টেলিভিশন।
রফিকুল আমিনের উৎসাহ-উদ্দীপনাতেই বৈশ্বিক তারকা শাহরুখ খান বাংলাদেশে এসে পারফরম্যান্স করেছিলো। ২০১১ সালে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে বাংলাদেশে আয়োজিত কনসার্টে মঞ্চ মাতিয়েছেন বলিউড তারকা সালমান খান, অক্ষয় কুমার ও ক্যাটরিনা কাইফ। ওই অনুষ্ঠানেরও সহ-আয়োজক ছিলো বৈশাখী টেলিভিশন। যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন রফিকুল আমিন।
১২ বছরে সরকারী কোষাগারে ৪১০ কোটি টাকার রাজস্ব জমা দিয়েছে ডেসটিনি গ্রুপ। বাগেরহাটে দেশের সর্ববৃহৎ আশ্রয়ণকেন্দ্র নির্মাণ করেছিলো ডেসটিনি। এসব কিছুর কেন্দ্রে ছিলেন রফিকুল আমিন।
মন্তব্য করুন