
		কাজী ফরিদ : সংবিধান সংস্কার কমিশনের দেশের নাম ও সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তনের প্রস্তাবনা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে বিশ্লেষকদের মধ্যে। তাদের কেউ বলছেন এর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা ফিরবে, আবার কারো মতে এসব বিষয়ে বার বার পরিবর্তন করা উচিৎ নয়।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের আরো কিছু সুপারিশ নিয়ে সমালোচনা করে বিশে¬ষকরা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা নিয়ে কিছু নেই প্রতিবেদনে। এদিকে, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা অস্পষ্ট বলছেন বিশ্লেষকরা। ।
রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত কমিশনগুলোর মধ্যে চারটি সংস্কার কমিশন বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম দুটি কমিশন হলো সংবিধান ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। কমিশন দুটি নির্বাচন, সংসদ, বিচার বিভাগ, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির নির্বাচন পদ্ধতি এসব নানা বিষয়ে চমকপ্রদ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেছে।
নির্বাচন ব্যবস্থায় সংস্কার আনতে কমিশনের দেয়া প্রতিবেদনে নতুনত্ব দেখলেও বিশ্লেষকরা বলছেন, কিছু সুপারিশ উদ্দেশ্যমূলকভাবে দেয়া হয়েছে, যা অষ্পষ্ট।
বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম ও সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তনের নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ করার পরামর্শ দিয়েছে দুটি কমিশনই। রাষ্ট্রপতি ও সংসদের মেয়াদ ৪ বছর এবং সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর বয়স ২১ করার সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। বিশ্লেষকরা বলছেন এসবের বাইরেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিলো যা সুপারিশ আকারে আসতে পারতো।
তবে এসব সুপারিশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আলোচনা, রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি গ্রহণযোগ্য সুপারিশ তৈরি করার তাগিদ দেন তারা।
মন্তব্য করুন