
		মেহ্দী আজাদ মাসুম : অর্ধেকের বেশি তার করিয়াছে ভারত, কিঞ্চিত বাংলাদেশ! বলছিলাম মুজিব বায়োপিক নির্মাণ প্রকল্পে লুটপাটের আদ্যোপান্তো। দেশে দক্ষ নির্মাতা, টেকনিশিয়ান থাকতেও এই চলচ্চিত্র নির্মাণে পতিত সরকারের ভারত নির্ভরতার সমালোচনা করেছেন দেশের চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। ১১৬ কোটি টাকার এ নির্মাণ প্রকল্প থেকে ভারতের এনএফডিসি নিয়েছে ৬০ কোটি টাকা, যার ব্যয়ের কোন হিসেবই দেয়নি দেশটি। বাংলাদেশ অংশের ব্যয়েও হয়েছে নয়-ছয়।
বাংলাদেশে সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদানের সর্বোচ্চ বাজেট- ৬০ লাখ টাকা। আর ব্যক্তি উদ্যোগে এই বাজেট এক থেকে দেড় কোটি টাকা। এমন পরিস্থিতিতে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই চলচ্চিত্র নির্মনের যৌক্তিকতা নিয়ে ৫ আগস্টের আগে কথা বলতে সাহস না পেলেও এখন সরব প্রযোজক-নির্মাতারা। তারা বলছেন, বাংলাদেশের অনেক নির্মাতার এই চলচ্চিত্র নির্মাণের সক্ষমতা ছিলো।
চলচ্চিত্র পরিচালক বদিউল আলম খোকন বলেন, ছবিটি তিনি দেখেছেন। এতে ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমার মনে হয়েছে ছবিটি শ্যাম বেনেগাল নির্মাণ করেননি। উনি ওনার ৪ নম্বর ৫ নম্বর সহকারীকে দিয়ে বানিয়েছেন। আর টাকা যা নেওয়ার উনি নিয়ে গেছেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণ বলেন, শ্যাম বেনেগালকে এই ছবিটি বানানোর দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে তখনই প্রশ্ন উঠেছিলো। যখন দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ছিলো না, তখন অনেকে সাহস করে বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখেছিলেন, কেন আমাদের দেশের নির্মাতা নয়?
দেশে দক্ষ নির্মাতা কুশলী থাকতেও মুজিব বায়োপিক নির্মাণে ভারত নির্ভরতার সমালোচনা করেছেন দেশের চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। যৌথ প্রযোজনার এই প্রকল্পে লুটপাট, হরিল্লুট বা নয়-ছয়, যেটাই হোক, এর নিরপেক্ষ তদন্ত বিচরের দাবি উঠেছে সর্বত্র।
মুজিব বায়োপিক : ভারত নির্ভরতা
ভারতের এনএফডিসির পক্ষে নেতৃত্ব দেন পরিচালক শ্যাম বেনেগাল
ভারতের অংশে ব্যয় ৩২ কোটি টাকা
বিএফডিসির কাছে থেকে অতিরিক্ত নেন ২৮ কোটি টাকা
৬০ কোটি টাকার কোন হিসেব নেই
বড় অংকের পারিশ্রমিক নেন শ্যাম বেনেগাল
বাংলাদেশ অংশের হিসেবেও রয়েছে গড়মিল
মুজিব বায়োপিকের অর্থ লুটপাটের বিষয়ে বিএফডিসির অডিট বিভাগের কর্মকর্তা স্বীকার করলেও তিনি ক্যামেরারর সামনে কিছু বলতে রাজি হননি।
মন্তব্য করুন