
		রাজশাহী সংবাদদাতা : রাজশাহীর হাইটেক পার্কে জায়গা বরাদ্দ নিলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেনি। ফলে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে নতুন যে কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ছিলো তা অর্জিত হয়নি। তবে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ ও ফ্রিল্যান্সারদের আকৃষ্ট করার উপর জোর দিতে হবে।
পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষে প্রায় ৩১ একর জায়গাজুড়ে গড়ে উঠেছে রাজশাহী হাইটেক পার্ক। ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৪৩ কোটি টাকা। এর দুটি অংশ-সিলিকন টাওয়ার এবং আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার।
পুরো প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে প্রায় ১৪ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে এমন আশ^াস ছিল। তবে এখন সবমিলিয়ে কাজ করছেন মাত্র ৪০০ কর্মী। উদ্যোক্তারা বলছেন, হাইটেক পার্কটিতে অবকাঠামো, সুন্দর পরিবেশ এবং শিক্ষিত জনবল থাকলেও বিনিয়োগ আসছে না। আর এ পিছনে মূল কারণ হলো প্রচারের অভাব।
এদিকে, গত আগস্টে লুটপাটের কারণে প্রতিষ্ঠানটির ক্ষতি হয়েছে ৩২ কোটি টাকা। এখন এর অবকাঠামো সংস্কারের পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ বলছে, যেসব প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা নেই, তাদের জায়গা বরাদ্দ বাতিল করা হবে। এছাড়া ফাঁকা ৭টি প্লটের জন্য খোঁজা হচ্ছে বিনিয়োগকারী।
এদিকে, হাইটেক পার্কে কর্মরতদের রাজশাহীতে ধরে রাখতে পৃষ্টপোষকতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
হাইটেক পার্কের দুটি ভবনে মোট ২০টি প্রতিষ্ঠানের জন্য জায়গা বরাদ্দ আছে। এর মধ্যে ১৩টি প্রতিষ্ঠানকে জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন