
		পটুয়াখালী সংবাদদাতা: ঢাকা-পটুয়াখালী নৌ রুটে নাব্যতা সংকটের কারণে ব্যহত হচ্ছে যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌযান চলাচল। এতে করে ভোগান্তিতে পড়ছেন এই রুটে চলাচলকারী যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা। সংকট সমাধানে প্রতি বছর ড্রেজিং করলেও তা খুব বেশি কাজে আসছে না। উল্টো ড্রেজিংয়ের মাটি তীরে ফেলায় নদী আবার ভরাট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
পটুয়াখালী থেকে ঢাকা নৌ পথের দূরত্ব ২৫২ কিলোমিটার। তবে এর মধ্যে পটুয়াখালী নদী বন্দর থেকে বগার চরগরবদী এবং ঝিলনা পর্যন্ত বেশ কিছু স্থানে শুষ্ক মৌসুমে ডুবো চর জেগে ওঠায় এই রুটে নৌযান চলাচলে ঝুঁকি তৈরী হয়। এ ছাড়া ঘন কুয়াশার কারনে বিভিন্ন সময় যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো ঘন্টার পর ঘন্টা ডুবো চরে আটকে থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ে কয়েকগুন।
সমস্যা সমাধানে বিগত বছর গুলোতে পটুয়াখালী নদী বন্দরের বিভিন্ন পয়েন্টে ড্রেজিং এর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা খারচ করলেও তা খুব বেশি কাজে আসেনি। উল্টো ড্রেজিংয়ের মাটি তীরে ফেলায়, নদী আবার ভরাট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
তবে, বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানান পটুয়াখালী জেলা নদী বন্দর কর্মকর্তা মোঃ জাকী শাহরিয়ার ।
পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দর পুরোপুরি চালু হলে পটুয়াখালী-ঢাকা নৌ রুট সহ জেলার অভ্যন্তরীন রুট গুলোতে নৌ পথে পণ্য পরিবহন বাড়বে। আর সেই সুবিধার কথা মাথায় রেখে নাব্যতা সংকটের সমাধানে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা ও উদ্যোগ গ্রহণের দাবী জেলা বাসীর।
মন্তব্য করুন