
		কাজী ফরিদ: নির্বাচন কমিশন গঠনে আওয়ামী লীগ সরকারের করা আইন শুরু থেকেই বিতর্কিত। আইনে যে অনুসন্ধান কমিটি করা হয়েছে তাতে সরকারের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ আছে। সরকার নির্বাচনের সময় যে সচিবকে কমিশন সচিব হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছেন তিনিও ক্ষমতাসীনদের পক্ষ হয়ে কাজ করছেন। পরবর্তীতে বড় পদ দিয়ে পুরস্কৃতও করা হয়েছে তাদের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভালো নির্বাচনের পূর্বশর্ত সর্বজন গ্রহণযোগ্য ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন।
২০২২ সালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য আইন করে সরকার। তবে শুরু থেকেই এ নিয়ে বিতর্ক আছে।
আইনটিতে যাদের দিয়ে অনুসন্ধান কমিটি করাহয়েছে তারা সবাই সরকার প্রধান ও রাষ্ট্রপতির সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করেন অথবা পরিচিত। এতে প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করার সুযোগ কম বলছেন বিশ্লেষকরা।
এটি কয়েকমাস পূর্বের রাজধানীর একটি অনুষ্ঠান। যেখানে একজন সবেক নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলছেন কিভাবে কাজ করে কমিশন।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের সভার তথ্য সবাইকে জানানোর জন্য প্রকাশ করা উচিৎ বলে মনে করেন নির্বাচন পর্যবেক্ষক মুনীরা খান ও নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ।
কমিশনে সচিব নিয়োগের ক্ষেত্রে আরো সতর্ক হবার কথা বলছেন অনেকে। বিগত নির্বাচনগুলোতে ইসি সচিবদের কর্মকাণ্ড ছিলো বিতর্কিত। কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তা বা চুক্তিতে সচিব নিয়োগের পরামর্শ আছে বলে জানান খন্দকার মিজানুর রহমান, নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট এর সাবেক মহাপরিচালক ও নির্বাচন কমিশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব মোহাম্মদ জকরিয়া।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাব্বির আহমেদ বলেন বিগত সময়ে ইসি বেশকিছু সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে। এসব নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে, আইনে বলা আছে সীমানা নির্ধারণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলা যাবে না।
নির্বাচনী অনিয়মের জন্য ইসির কাছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ক্ষমতা রাখার পরামর্শ রাজনৈতিক বিশ্লেষকসহ অন্যদের।
নির্বাচনী অনিয়মের জন্য নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে যেসব মামলা হয় সেগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি চান সাবেক ইসি কর্মকর্তারা। নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট এর সাবেক মহাপবিচালক খন্দকার মিজানুর রহমান বলছেন, এতে নির্বাচনে অণিয়ম হলে প্রার্থী ন্যায় বিচার পাবেন সেই আস্থা ফিরবে।
মন্তব্য করুন