
		নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ক্ষমতা বৃদ্ধির সুযোগ থাকলেও তা হয়নি। সরকারের প্রতি নির্ভরশীল করে রাখা হয়েছে যুগের পর যুগ। এতে করে ফ্যাসিস্ট শক্তির অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় থাকার পথ সুগম হয়েছে। কমিশনের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নিজস্ব কর্মকর্তাদের ক্ষমতায়ন করার কথা বলেন বিশ্লেষকরা।
বিগত আউয়াল কমিশন নিজস্ব কর্মকর্তাদের জাতীয় নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার করার কথা বললেও রহস্যজনক কারণে তা শেষ পর্যন্ত করেনি। নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনগত দূর্বলতা, দলীয়করণ নিয়ে নির্বাচন কমিশন এককভাবে নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে ভোট আয়োজন করতে পারে না। সরকারি, আধাসরকারি, শায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবলকে নির্বাচনী কাজের দায়িত্ব দেয় ইসি। নির্বাচন কমিশনকে আরো শক্তিশালী করতে,ক্ষমতায়ন নিশ্চিত ও স্বাধীনতা দিতে সংবিধানে বলা হয়েছে ইসির চাহিদা অনুযায়ী জনবলের ব্যবস্থা করবেন রাষ্ট্রপতি। তবে বাস্তবতা ভিন্ন।নির্বাচন কমিশনকে নানাভাবে দুর্বল করে রাখা হয়েছে। এতে নির্বাচন কমিশন নিজে ও বিগত সরকার দুই পক্ষই জড়িত। বলা হয়, মাঠ পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করতে হবে। কিন্তু বিগত তিনটি নির্বাচনের চিত্র দেখলে দেখা যায় তাদের মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত নির্বাচনগুলো হয়েছে।নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের রিটার্নিং অফিসার করার জন্য বিভিন্ন পক্ষের জোড়ালো দাবি ছিলো বিগত সময়ে। ইসিতে যোগ্য কর্মকর্তা থাকলেও তাদের রিটার্নিং অফিসার করা হয়নি।মাঠ পর্যায়ে নির্বাচন কর্মকর্তাদের মর্যাদা বাড়াতে ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য ইলেকশন ক্যাডার সার্ভিস করার দাবিও আছে।জাতীয় নির্বাচনের সময় আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ দেয় কমিশন। কিন্তু বিশাল এলাকার দায়িত্ব একজন ম্যাজিষ্ট্রেটের পক্ষে পালন করা সম্ভব হয় না। তাই নির্বাচনের সময় সীমিত পরিসরে নির্বাচন কর্মকর্তাদের বিচারিক ক্ষমতা দেয়ার কথাও বলেন কেউ কেউ।বিশ্লেষকরা বলেন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ভেতর থেকে শক্তিশালী করতে হবে।
মন্তব্য করুন