
		নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর উপর নির্বাচন কমিশনের কাগজপত্রে নিয়ন্ত্রণ থাকলেও বা¯বে নেই। আইনগত নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা তাদের উপর করতে না পারায় কর্তৃত্ববাদী, অগণতান্ত্রিক দল ও জনপ্রতিনিধি থেকে কর্তৃত্ববাদী সরকার বা শাসন প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। তাই সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজনীতিতে জবাবদিহিতা নিয়ে আসতে হলে আগে প্রার্থীর কার্যক্রম ও রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে স্বচ্ছতা আনতে হবে, যেখানে মূল ভূমিকা থাকবে ইসির।
নির্বাচন কমিশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব মোহাম্মদ জকরিয়া জানান বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য কোন আইন নেই। আরপিও’র অধীনে নির্বাচন কমিশন একটি বিধিমালা করে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দিচ্ছে। বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪৮টি। যে পদ্ধতিতে নিবন্ধন দিচ্ছে ইসি তা নিয়ে আছে প্রশ্ন।
নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক খন্দকার মিজানুর রহমান বলেন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন দেয়ার পর তাদের আর মনিটরিং করেনা ইসি। এজন্য অনেক দলের মধ্যে গণতন্ত্র ও স্বচ্ছতার অভাব আছে। রাজনৈতিক দলের উপর আইনগত নিয়ন্ত্রণ ইসির থাকলে আওয়ামী লীগএতোটা কর্তৃত্ববাদী রাজনৈতিক দল হয়ে উঠতো না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাব্বির আহমেদ বলেন বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী রাজনৈতিক দল সংসদ নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে পারে। তবে, পরবর্তীতে একজনকে চূড়ান্ত কর, অনেকে মনে করেন এতে অনিয়ম বাড়ে।নির্বাচনে দল ও প্রার্থীর আয়-ব্যায়ের হিসাব জমা দিলেও এটি আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়েছে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে জমা, যাচাই কিছুই হয়না।
তিনি আরো বলেন নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য একজন প্রার্থী তার ৮টি তথ্য জানিয়ে হলফনামা জমা দেন। তবে এই হলফনামায় দেয়া তথ্য সঠিক কিনা তা যাচাই করেনা নির্বাচন কমিশন।
হলফনামায় তথ্য গোপন করে জনপ্রতিনিধিরা বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হবার পাশাপাশি তারা অবৈধ অর্থ ব্যয় করে নির্বাচনে বিজয়ী হচ্ছেন। সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচিত না হয়ে আসায় দেশে দুঃশাসন কায়েম হচ্ছে, যা গণতন্ত্রের ভিত্তি দূর্বল করে দিচ্ছে, দূর্নীতি বাড়াচ্ছে। বিগত তিনটি নির্বাচন এর নজির। তাই, নির্বাচন কমিশনের প্রতি এসব বিষয়ে পর্যবেক্ষণ ও পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ আছে।
মন্তব্য করুন