
		আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অন্তবর্তী সরকারের সামনে এখন অনেক চ্যালেঞ্জ। প্রয়োজনীয় সংষ্কার শেষে বাড়ছে নির্বাচনের চাপ। বাংলাদেশ: গণতান্ত্রিক রূপান্তরের উভয়সংকট শিরোনামে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্র“প-আইসিজি। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি রোহিঙ্গা ইস্যুটিও বড় সংকট তৈরি করছে বলে প্রতিবেদনে উল্লখে করা হয়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত আগস্টে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। এরপর বিপুল জনসমর্থন নিয়ে অন্তবর্তী সরকার গঠন করেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শেখ হাসিনার পতন ও ছাত্র জনতার সমর্থনে সরকার গঠন বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক ঘটনা। তবে জীবনযাত্রার মানন্নোয়ন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উঠছে সমালোচনার ঝর। বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্র“প প্রকাশিত ‘ওয়াচ লিস্ট ২০২৫’-এ এসব কথা জানানো হয়। এ তালিকা মূলত ওয়াচ লিস্টের দেশগুলোতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তার বিষয়ে পরামর্শ তুলে ধরা হয়। তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়াও ইউক্রেন, সিরিয়া, ইসরাইল-ফিলিস্তিন, ইরানসহ বেশ কয়েকটি দেশের নাম রয়েছে। তালিকায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গের শিরোনাম, ‘বাংলাদেশ: গণতান্ত্রিক উত্তরণে উভয়সংকট’। এ বিষয়ে ক্রাইসিস গ্র“পের মিয়ানমার ও বাংলাদেশ বিষয়ক জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট থমাস কিয়ান বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ সংস্কার এবং নির্বাচন নিয়ে মরিয়া হয়ে ওঠায় অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর এ বছর রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ আরও বাড়তে পারে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে জনগনের আস্থা পুণরুদ্ধারে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান কিয়ান। আইসিজির প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্থনীতিকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে চলমান প্রচেষ্টার সুফল বাংলাদেশের জনগণের বাস্তবে পেতে আরও সময় লাগবে। ভারতের সাথে সম্পর্কে এখনো টানাপোড়েন রয়েছে আর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের যুদ্ধবিধ্বস্ত মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। সবমিলিয়ে চলতি বছর অন্তবর্তী সরকারের জন্য খুবই চাপের। বাংলাদেশকে সমর্থন দেওয়ার জন্য ইইউ ও এর সদস্যদেশগুলোর করণীয় বিষয়ে আইসজি এর পরামর্শ, বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচিকে কারিগরি এবং আর্থিকভাবে সমর্থন দেওয়া দরকার। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করা, শাসনব্যবস্থার উন্নয়ন ও মানবাধিকার রক্ষাসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে সহায়তা দিতে পারে ইইউ। আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রভাব খাটিয়ে বাংলাদেশের জন্য অতিরিক্ত অর্থনৈতিক সমর্থন আদায় করে জাতীয় অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে ইউ অবদান রাখতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লখ করা হয় । রোহিঙ্গা সংকট থেকে উত্তোরণে অর্থায়ন অব্যাহত রাখার পাশাপাশি তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারে ইইউ। সেইসাথে নির্বাচনগুলো পর্যবেক্ষণে একটি পর্যবেক্ষক মিশন পাঠানো উচিত এ জোটের।
মন্তব্য করুন