
		মাবুদ আজমী : সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে নিয়ন্ত্রণহীন মধ্যপ্রাচ্যের উড়োজাহাজের টিকেটের মূল্য। মধ্যপ্রাচ্যগামী কর্মীদের অভিযোগ দ্বিগুণ তিনগুণ দামেও মিলছে না সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর এয়ার টিকেট। এক শ্রেণির অসাধু ট্রাভেল এজেন্ট এয়ারলাইন্স-কোম্পানিগুলোর সাথে যোগসাজেসে আগাম বুকিং রেখে দুই-তিনগুণ বেশি দামে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ ট্রাভেল এজেন্ট এসোসিয়েশনের। সংগঠনটি বলছে সরকার আইন প্রয়োগ না করায় ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে চক্রটি।
দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখছে প্রবাসী কর্মীদের পাঠানো রেমিটেন্স। আর এর সিংহভাগ আসে সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোত থেকে। কর্মীও বেশি যাচ্ছে এসব দেশে। তবে এক শ্রেনীর অসাধু ট্রাভেল এজেন্ট ব্যবসায়ী মধ্যপ্রাচ্যের টিকিটের দাম হাকাচ্ছেন দ্বিগুন-তিনগুণের বেশি।
অথচ বিশ্বের অন্যান্য দেশে কর্মী যাওয়ার গতি কমে গেলেও মধ্যপ্রাচের দেশগুলোতে বেড়েছে। গেলো এক মাস ধরে বিমানের টিকের মূল্য কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে এই শ্রমবাজারে।
মধ্যপ্রাচ্যগামী কর্মীদের অভিযোগ, ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার টিকেট মিলছে না এক লাখ টাকা দিয়েও। এতে অভিবাসী ব্যয় বাড়ার পাশাপাশি ঋণের বোঝা বৃদ্ধি পাচ্ছে কর্মীদের। সরকার পদক্ষেপ না নেয়ায় ক্ষোভ জানান প্রবাসী কর্মীরা।
অ্যাসোসিয়েশন অব ট্র্যাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ-আটাব বলছে মধ্যপ্রাচ্যগামী কিছু এয়ারলাইন্স তাদের পছন্দের এজেন্সির নামে, কোন প্রকার পাসপোর্ট, ভিসা ও নথিপত্র ছাড়াই দুই থেকে তিন মাস সিট ব্লক করে রাখছে। চক্রটির এয়ার টিকিট মজুতদারির কারণে মাধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান আটাবের সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ ।
আগস্টের আগে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন রুটে সপ্তাহে ৯৮টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হলেও ৫২টি কমিয়ে এখন পরিচালনা করা হচ্ছে ৪৬টি। ফলে চাহিদা থাকলেও ফ্লাইট কম হওয়ার কারণেও চক্রটির সুযোগ নিচ্ছে বলে জানান আটাব সভাপতি।
মন্তব্য করুন