
		পার্থ রহমান : গত এক এক যুগে প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা ডসটিনি গ্রুপের সম্পদ নানাভাবে বেহাত ও ধ্বংস হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ জায়গা ও সম্পদ রক্ষায় প্রশাসনের নজর নেই। ডেসটিনি গ্রুপের সব সম্পত্তি কর্তৃপক্ষের কাছে ফিরিয়ে দিতে সরকারের প্রতি দাবী জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার ভবের চরে হাইওয়ের পাশে ২০০৯ সালে এই জায়গাটি কেনে ডেসটিনি গ্রুপ। পরিকল্পনা ছিল, ডেসটিনি গ্রুপের বিভিন্ন শিল্পকারখানা থেকে উৎপাদিত পণ্যের প্যাকেট ও মোড়কজাত করার জন্য প্যাকেজিং কারখানা নির্মাণ করা। নানা কারনে তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে জায়গাটি পরিত্যক্ত । সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৬০ শতাংশ আয়তকার জায়গাটির অনেকখানিই বেদখলে।
আদালতের নির্দেশে ডেসটিনির জমি-জমা ও সম্পত্তির জিম্মাদার রাষ্ট্র। এসব সম্পত্তি রক্ষায় প্রশাসনের সাইনবোর্ড থাকার কথা থাকলেও এখানে তা দেখা যায়নি।
দুটি পুকুরসহ কুমিল্লার বুড়িচঙে ১৫০ শতাংশ জমির উপর নির্মিত বন্দিশাহি এই কোল্ড স্টোরেজ কেনা হয়। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, কোল্ড স্টোরেজের ভেতরের সব যন্ত্রপাতি লুটপাট হয়েছে। অযতœ -অবহেলায় জীর্ণ দেয়াল নিয়ে কোনমতে দাঁড়িয়ে আছে অবকাঠামোটি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে ঘেঁষা ফেনীর দেবপুরে ২৫ তলা বিশিষ্ট ডেসটিনি ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস সেন্টার নির্মাণের জন্য এ জায়গাটি কেনা হয়। ৬৫ শতাংশ এই জমির ওপর ডেসটিনি গ্রুপের বড় সাইনবোর্ড থাকলেও স্থানীয় প্রভাবশালী মহল জায়গাটি দখল করতে এসে তা খুলে ফেলে। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, গত এক যুগে প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা ডেসটিনি গ্রুপের সব সম্পদ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। দ্রুত এসব সম্পদ ডেসটিনির হাতে বুঝে দেয়ার দাবি তাদের।
মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা এবং ফেনীর এসব জায়গার মত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ডেসটিনি গ্রুপের অসংখ্য সম্পদ। দখল মুক্ত করে এসব সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার তাগিদ ডেসটিনি কর্তৃপক্ষের।
মন্তব্য করুন