মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
সম্প্রতি দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তুলেছে রাজধানীর উত্তরায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার মেহবুল হাসান ও নাসরিন আক্তার ইপ্তির ঘটনাটি। যেখানে বলা হয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু জানা গেছে সম্পর্কে তারা স্বামী-স্ত্রী নন। তারা দুজন সহকর্মী, আর এমনটাই জানিয়েছেন হামলায় আহত মেহবুল হাসানের স্ত্রী দাবি করা শম্পা বেগম।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মিডিয়া লাইভে এসব জানান শম্পা। তার দাবি, ২০১৬ সালে মেহবুলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের দুই সন্তান আছে। তাদের বয়স ৫ ও ৪ বছর। এ সময় প্রকাশ্যে মেয়েদেরও নিয়ে আসেন শম্পা।
ইপ্তির সঙ্গে তার স্বামীর পরকীয়ার সম্পর্ক বলে অভিযোগ করেছেন ওই নারী। তাদের বিয়ে হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে শম্পা বলেন, না তাদের বিয়ে হয়নি। মিডিয়ার সামনে নিজের পরিচয় প্রকাশ করায় তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
শম্পা বলেন, মেহবুল হাসান ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে কাজ করেন। তিনি ওই দিন সকাল ১০টার দিকে বাসা থেকে বের হন। স্বামী বাইরে থাকলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন না। সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘটনা দেখে তিনি হামলার বিষয়টি জানতে পারেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উত্তরায় হামলার কারণ সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। ওই রাতে স্বামী উত্তরায় কেন গিয়েছিলেন, তা-ও জানেন না তিনি।
লাইভ চলার সময় মেহবুল হাসান শম্পাকে মোবাইলে কল দেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘তুই মিডিয়াতে থাক। মিডিয়াতে তুই বউ হয়ে আয়।’ এ সময় তার শাশুড়িও ফোনে কথা বলেন।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর রোডে মেহেবুল হাসান ও নাসরিন আক্তার ইপ্তি কয়েকজন তরুণের হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় জড়িত পুরো চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। বুধবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান।
হামলার ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন তৈরি হয়। ঘটনার দিনই দুজনকে আটক করে পুলিশে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই নারীর প্রশংসা করেন অনেকে।
শম্পা গণমাধ্যমকে বলেন, মেহেবুল হাসান আমার বৈধ স্বামী। বিয়েসংক্রান্ত প্রমাণাদিও আমার কাছে রয়েছে। নাসরিন আক্তার ইপ্তির সঙ্গে তার স্বামী-স্ত্রীর কোনো সম্পর্ক নেই। তারা জনগণকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
মন্তব্য করুন
