
		নিজস্ব সংবাদদাতা: পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডির ছয় বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্র“য়ারি রাতে মজুদ থাকা গ্যাস লাইট রিফিলের গোড়াউনের আগুনে প্রাণ হারান ৭১ জন। শতাধিক মানুষ আগুনে পুড়ে আহত হন। সেই ভয়াবহ বিভীষিকার রাতের দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছেন স্বজনহারা অসহায় পরিবারগুলো।
স্বজনহারাদের দাবি তৎকালীন শেখ হাসিনার সরকারের কাছে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকগুলো থেকে ত্রিশ কোটি টাকা স্বজনহারা ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য সহায়তা দেয়া হলেও তারা এক টাকাও পাননি। প্রতিবছর ২১ ফেব্র“য়ারি চুড়িহাট্টা চৌরাস্তায় হারানো স্বজনদের জন্য দোয়া আতœার শান্তি কামনা করেই দিবসটি পালনের মধ্যে বেঁচে আছেন তারা।
২০১৯ সালের বিশ ফেব্র“য়ারি চকবাজার থানা এলাকার চুড়িহাট্টা চৌরাস্তায় ছিলো ভয়াবহ যানজট। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস একুশে ফেব্র“য়ারি শহীদ মিনারের নিরাপত্তার কারণে চানখার পুল, নীমতলীর যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় চকবাজারের এই রাস্তায় ছিলো অস্বাভাবিক চাপ।
রাত তখন সাড়ে দশটা। চুড়িহাট্টা চৌরাস্তায় একটি রিক্সার পেছনে আরেকটি রিকসা ঠাঁসাঠাসি অবস্থা। হঠাৎ একটি বিকট শব্দে আগুনের লেলিহান শিখা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায় রিকসা, প্রাইভেটকার, বাইক বা বন্ধুদের সঙ্গে চায়ের আড্ডায় আশা কেউই কোন দিক ছুটে নিজেদের রক্ষা করতে পারেননি।
চৌরাস্তায় থাকা ওয়াহেদ ম্যানসন থেকে বিকট শব্দে কিছুক্ষণ পরপরই আগুনের গোলা এসে পরছিলো রাস্তা, আশপাশের দোকানের সামনে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিটও আগুন নিয়ন্ত্রণে আমতে হিমসিম খাচ্ছিলো। মধ্যে রাতে আকাশ থেকে হেলিকপ্টারে বুড়িগঙ্গা থেকে পানি ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে আগুনে পুড়ে নিহত হন বহু পথচারী, দোকান কর্মচারি, ব্যবসায়ীসহ ৭১ জন।
মন্তব্য করুন